নিজের বার্তা মুছে দিলেন জাকারবার্গ!
ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ আর তাঁর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো কিছু বার্তা মুছে দেওয়া হয়েছে। টেকনোলজি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয়েই নিজেদের বার্তা মুছে দিয়েছেন জাকারবার্গ।
টেকক্রাঞ্চের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা জাকারবার্গ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছে তাদের ইমেইলসহ আনুষাঙ্গিক বিষয় পরীক্ষার করার পরই বিষয়টি ধরা পড়ে। বিজনেস ইনসাইডারসহ একাধিক গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের ওই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক জানিয়েছে হ্যাক হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই ওই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২০১৪ সালে সনি পিকচারসের ইমেইলগুলো হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে,আমাদের নির্বাহী কর্মকর্তাদের যোগাযোগকে নিরাপদ রাখতে আমাদের বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমাদের বার্তা সংরক্ষণের যত আইনি বিষয় আছে সেগুলো মেনেই আমরা এটা করেছি।’
তবে এই তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার পরিবর্তনে সাধারণ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসে নি। সাধারণ মানুষ চাইলে নিজের পাঠানো বার্তার কপিটি মুছে ফেলতে পারবেন,কিন্তু গ্রাহকের কাছে কপিটি থেকেই যাবে।
হোয়াটস অ্যাপে একটি পদ্ধতি চালু হয়েছিল যে,বার্তা মুছে ফেললে,গ্রাহকদের কাছে একটি বার্তা যাবে যে একটি বার্তা মুছে ফেলা হয়েছে।কিন্তু মার্ক জাকারবার্গদের বেলায় তেমন কোনো বার্তাও থাকবে না। সম্ভবত এগুলো অনেক বছর আগেই পড়া হয়ে গেছে সেই কারণেই।
বার্তাগুলো মূলত নিজেদের সাবেক কর্মকর্তা এবং বাইরের লোকজনের কাছে পাঠিয়েছিল ফেসবুক। টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, এখন যে সব গ্রাহকদের বার্তা মুছে দেওয়া হচ্ছে তাঁরা সে বিষয়ে জানবেন না।
নীরবে এবং বাছাই করা কিছু বার্তা মুছে দেওয়ায় ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। অথচ প্রতিষ্ঠানের নিজ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিটি কাজ,উদ্দেশ্য,পরিকল্পনা ও বিধিমালা সবার জন্যে উন্মুক্ত রাখার কথা।
কিন্তু এ ঘটনায় ফেসবুকের নীতিমালা অনুসরণ করতে দেখা যায় না।