নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফার্মাফেস্ট’ অনুষ্ঠিত
‘সেইফ মেডিকেশন, সেইভস লাইফ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফার্মাফেস্ট’।
ফার্মাফেস্ট হলো ফার্মাসি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর এক ধরনের মিলন মেলা। গত বুধবার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠনের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও সেতু বন্ধন তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভাকে সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল ক্লাব ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ফার্মফেস্টের আয়োজন করে আসছে। ক্লাবটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান । এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহসান, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসান মাহমুদ রেজা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ক্লাবের শিক্ষক উপদেষ্টা নুসরাত হোসেন, সভাপতি সুরভি বিনতে শারমীন, সম্পাদক রাফিউল বাশার রাব্বিসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিরা স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মডেল ফার্মেসি প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৪০০টি ফার্মেসি চালু রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি একসাথে কাজ করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ফার্মা ফেস্টের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং ফার্মাফেস্টে আসা সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফার্মাফেস্টের মাধমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণা বিনিময়ের সুযোগ পায়।’
ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসান মাহমুদ রেজা বলেন, ‘ফার্মাফেস্ট হচ্ছে এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ফার্মাসি শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে পারে।’
ফার্মাসিউটিক্যাল ক্লাবের শিক্ষক উপদেষ্টা নুসরাত হোসেন বলেন, ‘ফার্মাফেস্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করার একটি মাধ্যম।’
উৎসবের অংশ হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩৫টি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিজেদের ওষুধ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য প্রদর্শন করে। এ ছাড়া প্রকল্প নির্মাণ, ফার্মা অলিম্পিয়াড এবং পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
ফার্মা অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পোস্টার প্রদর্শনী ও প্রকল্প নির্মাণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।