যুক্তরাষ্ট্রকে চাইলে ইরানের সঙ্গ ছাড়তে হবে!
ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে অন্যান্য দেশকে আবারও সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘যে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করবে, সে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইট বার্তাকে ধরে এ খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএন। আজ মঙ্গলবারই টুইটারে ওই সতর্কবার্তা দেন ট্রাম্প। গত নভেম্বর থেকে ইরানের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। এই সতর্কবার্তার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে লেনদেনে আগ্রহী দেশগুলোকেও সাবধান করে দিলেন তিনি। যদিও এসব কথা কেবল ‘বিশ্ব শান্তির জন্য’ বলছেন বলে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ওই সতর্কবার্তার লক্ষ্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় মিত্রগুলোর সঙ্গ ছেড়ে দিয়েই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র সীমিত রাখতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চুক্তি করেছিলেন। তবে ট্রাম্পের চোখে তা ‘একমুখী’ এবং ‘নিকৃষ্ট’।
তবে ওই চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে এখনো প্রতিজ্ঞ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা ইরানের সঙ্গে ‘বৈধ ব্যবসা’ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষ করে জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স চুক্তি ভঙ্গ করবে না বলে জানিয়েছে। ওই তিন দেশের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে চুক্তি ধরে রাখা নিরাপত্তার জন্য জরুরি। চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই তাদের।
এমনকি যুক্তরাজ্যের এক মন্ত্রী অ্যালেস্টার বার্ট জানিয়েছেন, যদি কোনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে তবে তাকে ইউরোপীয় আইনে রক্ষা করা হবে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের আশ্বাসে কতটুকু আশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে। জার্মানির গাড়ি ও ট্রাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ডেইমলার’ ইরানে ব্যবসা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল গত বছর। চলতি সপ্তাহে তা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের পুরোনো কূটনীতিতে ফেরত গেল।’
হাসান রুহানি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ইরানের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু করতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চুক্তি চলতে পারে না। আমরা সব সময় আলাপ আলোচনা ও কূটনীতির পক্ষে।’