‘পিংক ওয়ানডে’ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান
ম্যাচের দিন সকালে জানা গেল, নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় অধিনায়ক সরফরাজ খেলতে পারবেন না। অন্যদিকে, ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধি ও তহবিল গঠনের প্রতীক হিসেবে গোলাপি জার্সি পড়ে নামা ‘পিংক ওয়ানডে’ ম্যাচে কখনো হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন বড় দুটি বাধাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাকিস্তান সিরিজে সমতা ফেরাবে—এটা হয়তো পাঁড়-সমর্থক ছাড়া কেউই ভাবেনি। কিন্তু ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন দলটা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটটা হচ্ছে এক মিনিটে পড়ে গিয়ে পরের মিনিটে উঠে দাঁড়ানো।’ সেই কথার প্রতিধ্বনি করে চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে পরাজিত করে সিরিজে ২-২ সমতা আনল তারা।
বহুদিন পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে এদিন টস করতে নামেন শোয়েব মালিক। ভাগ্য প্রসন্ন হওয়ায় টস জিতে বোলিং নেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১৮ রানে প্রোটিয়াদের দুই উইকেট ফেলে দিয়ে তাঁকে আনন্দে মাতান বাঁহাতি পেসার শাহিন আফ্রিদি। কিন্তু হাশিম আমলা (৫৯) আর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি (৫৭) তৃতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেন পাকিস্তানিদের কপালে। দুই স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান কাছাকাছি সময়ে এঁদের দুজনকেই আউট করে স্বস্তি ফেরান। দলীয় ১৪০ রানে ডেভিড মিলারকে এলবডব্লিউ করে মোহাম্মদ আমির বড় একটা ধাক্কা দেন। এরপর আরেক বাঁহাতি পেসার উসমান খান শেনওয়ারির গতি আর রিভার্স সুইংয়ে পর্যুদস্ত হয় প্রোটিয়ারা। মাত্র আট রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান তোলেন ইমাম-উল হক ও ফখর জামান। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি তুলে ইমাম (৭১) জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে আউট হন। ফখর জামান ৪৪ রানে আউট হয়ে গেলেও বাবর আজম ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাত্র ৩১.৩ ওভার খেলে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শোয়েব মালিকের দল। পুরোনো বলে দুর্দান্ত স্পেল বল করে ৩৫ রানে চার উইকেট নেওয়া পাকিস্তানি পেসার উসমান খান হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।