আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা হলে আইনি ব্যবস্থা : ভিসি
ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি জানিয়েছেন আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপাচার্য।
ডাকসু নির্বাচন বাতিল করে পুন:তফসিল ঘোষণা করতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ ও প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যসহ পাঁচটি সংগঠন। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আগামী রোববার থেকে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
তবে পুননির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘সাড়ে চারশো শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী তাদের যৌথ, আন্তরিক প্রচেষ্টায় বহু কাঙ্খিত এ ডাকসু নির্বাচন। সেগুলোকে অসম্মান দেখানোর যে এখতিয়ার, সেটি আমার নেই।’
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো একটি সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে কেউ কোনোভাবে বিশৃঙ্খলা, অশান্ত করা প্রয়াস নিলে বা অপরাধমূলক কোনো কাজ সংগঠিত হলে সে সবের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠিন ব্যবস্থা গৃহীত হবে।’
গত সোমবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। ওইদিনই দুপুরেই অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। পুনরায় নির্বাচনের দাবিও করে তারা।
বর্জন করলেও ভিপি নির্বাচিত হন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর। এতে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগ। ভিপি পদে পুনরায় নির্বাচন দাবি করে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে পরদিন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভও করে তারা। তবে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নেতা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন নবনির্বাচিত ভিপি নুরকে অভিনন্দন জানান। ডাকসুতে ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ।
তবে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন নবনির্বাচিত ভিপি নুর।