জম্মু-কাশ্মীরে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করলে পাকিস্তানকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জি এস ধিলোঁ।

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বলছি, ১৯৭১ সালের চেয়েও ভয়ংকর শিক্ষা দেব। বলে রাখি, ১৯৭১ সালে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল। তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ।’

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জি এস ধিলোঁ। চিনার কর্পসের প্রকাশ করা এক ভিডিওবার্তায় এ খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধিলোঁ আরো বলেন, ‘পাকিস্তান বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করলে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যে তাদের আগামী প্রজন্ম ভুলতে পারবে না।’

ধিলোঁর ভাষ্যমতে, ‘ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো চেষ্টাই বাকি রাখবে না পাকিস্তান। তাদের আর্থিক অবস্থা বেহাল, কূটনৈতিক অবস্থানও নড়বড়ে, এমনকি রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতের মাটিতে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করবে পাকিস্তান।’

এ সময় কে জি এস ধিলোঁ হুঁশিয়ারি দেন, ‘পাকিস্তানি সেনা বা আইএসআই যা ইচ্ছা করতে পারে, সমুচিত জবাবই দেওয়া হবে। আর এমন জবাব দেওয়া হবে, যা তাদের আগামী প্রজন্মও ভুলতে পারবে না। এটা এরই মধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনা প্রধান।’

এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত ২১ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে দুই জঙ্গিকে আটক করে ভারতীয় সেনা। তাঁরা পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছেন বলে দাবি করা হয়। ওই স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন ধিলোঁ।

ভিডিওতে দেখা যায়, আটকদের মধ্যে এক ব্যক্তি বলছেন, ‘পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির জালেবি চক থেকে এসেছি। আমার গ্রামের নাম জেবাদান। লস্কর-ই-তৈয়বার মুজাহিদিন আমি। কাছেরবানে আমাকে ও সঙ্গী নাজিমকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।’

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুনির খান বলেন, ‘ভিডিওটি থেকে স্পষ্ট, গুলমার্গ ও কাশ্মীরের অন্য এলাকা দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।’

তবে এসব ঘটনায় পাকিস্তানের নাগরিকের জড়িত থাকার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।