সন্ধ্যাকালীন কোর্সসহ ১৩টি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ২২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে আসে। পরে সেখান থেকে চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী জানান, সন্ধ্যাকালীন কোর্সসহ ১৩টি নির্দেশনা সম্বলিত ইউজিসির একটি চিঠি পেয়েছি। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ‘টেবিল এজেন্ডা’ হিসেবে সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির নির্দেশনার পক্ষে আছে। এটা কারো একার সিদ্ধান্তে হবে না। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আইন অনুষদের একটি বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ছয়টি বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ছয়টি বিভাগ, বিজ্ঞান অনুষদের দুটি বিভাগ এবং প্রকৌশল অনুষদের একটি বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু আছে।

এ ছাড়া বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট, ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে এ কোর্স রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সন্ধ্যাকালীন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা নামে বিভিন্ন মেয়াদী কোর্স চালু রয়েছে। এসব কোর্সের জন্য প্রায় ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

এর মধ্যেই ইউজিসির চিঠি নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আপাতত নতুন করে সন্ধ্যাকালীন কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোর্স চালু থাকা বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা বলছেন, একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পরই কোর্স চালু হয়েছে। এটা কোনো বিভাগের একার সিদ্ধান্ত নয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আগে তাঁরাও কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, ‘ইউজিসির চিঠিতে দেওয়া বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আভ্যন্তরীণ কথাবার্তা হচ্ছে। তবে এই সান্ধ্য কোর্সেও বিষয়টি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একার সিদ্ধান্ত নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিরূপ মন্তব্য আসতে পারে।’