ছাত্র রাজনীতির একাল-সেকাল
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস এবং ঐতিহ্য এতোটাই উজ্জ্বল যে এখনো আমরা সগৌরবে স্মরণ করি। জাতীয় রাজনীতি কিংবা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে ছাত্ররাজনীতিকে মনে করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও কেন পুরনোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে বর্তমান প্রজন্ম ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার পূর্বে স্বভাবতই এই ছাত্ররাজনীতির গৌরবের, অহংকারের এবং ঐতিহ্যের কিছু কথা না বললে অ সম্পূর্ণ রয়ে যাবে।
বাংলাদেশের যেকোনো পর্যায়ের রাজনৈতিক আদর্শের কথা যদি বলতে হয় তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র নাম আসবে সর্বাগ্রে। কারণ রাজনীতি করার জন্য যে দর্শন প্রয়োজন, যে আদর্শ প্রয়োজন, যে নৈতিকতাবোধ কিংবা মূল্যবোধ, মানবিকতাবোধ, সহমর্মিতাবোধ, কৃতজ্ঞতাবোধ, সহনশীলতা, প্রজ্ঞা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা, দেশপ্রেম থাকা প্রয়োজন তার একটি সমষ্টিগত আচরণ ছিল জাতির পিতার মধ্যে। এইসব গুণাবলি নিয়ে ছাত্ররাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সাথে সময়ের কালক্রমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এই দেশের সাত কোটি মানুষের নির্ভরতার প্রতীক।
শুধু তাই নয়, তিনি বিরোধী রাজনীতি অঙ্গনে সমানভাবে শ্রদ্ধারপাত্র ছিলেন। কারণ সম্মানের জায়গায় বঙ্গবন্ধু জাত কিংবা দলে বিশ্বাসী ছিলেন না। ব্যক্তি পর্যায়ে তার সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ছিলো সবার কাছে অনুকরণীয়।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা কমিশনের আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রদের এবং ছাত্ররাজনীতির অবদান বর্তমান প্রজন্ম এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে। এবং এই অর্জন এই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং থাকবে।
পূর্ব পাকিস্থান তথা বাংলাদশের মানুষের মায়ের ভাষার প্রতি পশ্চিমাদের অত্যাচারে প্রথম যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো ‘তমুদ্দীন মজলিশ’ এর তত্ত্বাবধানে ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তার শুরু ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রয়াসে। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছিল সেই সমাবেশেই ছাত্র-সমাজ সেই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয় যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ছিলো অনুসরনীয়। পশ্চিম পাকিস্থানী শাসক নানামুখী ছক সাজালেও এই দেশের তরুণ ছাত্র-সমাজ তাদের পরিকল্পনা এমনকি ১৪৪ ধারাকে অগ্রাহ্য করে জীবন দিয়ে আমাদের মায়ের ভাষাকে রক্ষা করেছিলো।
ছাত্রদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার অধিকারের অস্বীকৃতি, ভর্তি ও প্রমোশনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ এবং পাবলিক পরীক্ষার মান উন্নীত করে উচ্চতর শিক্ষালাভের সুযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয় থাকায় ১৯৬২ সালে শরীফ কমিশনের রিপোর্ট পূর্ব-পাকিস্থানের আপামর ছাত্র-সমাজ প্রত্যাখান করে এবং পরবর্তীতে এটি বাতিল করে নতুন কমিশন গঠন করা হয় ।
১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান । ফলে স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্র হয়। বাংলার জনগণ এই ছয় দফাকে সাধুবাদ জানায়। এটাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এমনকি ম্যাগনাকার্টার সাথে তুলনা করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি শাসকেরা একে নস্যাৎ করতে আগরতলা মামলা করে। মামলার প্রধান আসামী করা হয় শেখ মুজিবুর রহমানকে। এটা প্রকাশিত হবার পর পূর্ব বাংলার জনসাধারণ বিশেষ করে ছাত্র সমাজ ক্ষোভে ফেটে উঠে। ১০জন ছাত্র নেতার সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে আন্দোলন সংগঠিত করা হয়। সেই সাথে ১১ দফা দাবি পেশ করা হয়। মামলার প্রধান আসামি শেখ মুজিবসহ অন্যান্যদের মুক্তি ও পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪শে জানুয়ারি সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষ মিছিল বের করে।
সেই মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে প্রাণ হারান কিশোর মতিউর রহমান মল্লিকসহ চারজন । পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান পদত্যাগ করে এবং শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্যদের মুক্ত করে দেওয়া হয় ‘শেখ মুজিব বনাম রাষ্ট্র’ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হতে।
এতো কিছু করে পশ্চিমারা ক্ষান্ত হয়নি। বাংলার দুখী মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় নরপিশাচরা। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে রাতের আঁধারে ঘুমন্ত জনতাকে খুনের নেশায় মত্ত হয়ে আক্রমণ চালায় নরখাদকেরা।
কিন্তু বাংলার মানুষ মাতৃভাষা ও এই মাটির টানে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সর্বস্ব দিয়ে এই মাটিকে হায়ানাদের হাত থেকে মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পরে শত্রুদের উৎখাত করতে। এই জনতার কিছুই ছিলোনা। ছিলোনা কোনো অস্ত্র, না ছিলো কোনো হাতিয়ার, ছিলো শুধু দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। আপামর জনতা এই জনযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলো। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যার যা কিছু ছিলো তাই নিয়ে শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলো। সেই স্বাধীনতার যুদ্ধেও ছাত্র সমাজের একটি বড় ভুমিকা ছিলো।
যুদ্ধকালীন সময়ে অসংখ্য ছাত্র, ছাত্র-নেতা পাশের দেশে ছিলেন এবং সেখানে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য নানা রকম প্রশিক্ষণ নিতে বিভিন্ন ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন। প্রশিক্ষণ শেষে হাই-কমান্ডের আদেশে নানা জায়গায় অপারেশন সম্পন্ন করতেন। একটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। সেই সময়ে ছাত্ররাজনীতির সাথে যারা যুক্ত ছিলেন তারা যেমন অধিকার আদায়ে ঝাঁপিয়ে পরতেন ঠিক একইভাবে তারা কিন্তু তাদের রাজনৈতিক পরিচয়কে পরিচ্ছন্ন ও সমুন্নত রাখতেন। তাদের সকলের পরিচয় ছিল ছাত্র। এই পরিচয়কে তারা কখনো কলঙ্কিত হতে দেননি। তাদের প্রতিটি আন্দোলনে, সংগ্রামে মেধা ও মননের স্পর্শ ছিল। অধিকার আদায়ে প্রখর যুক্তি ছিল যা এসেছিল তাদের মেধার চর্চার মাধ্যমে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভঙ্গুর এই রাষ্ট্রকে নতুন করে গড়ে তুলতে এই ছাত্র সমাজের ভূমিকা ছিল অনন্য। এই স্বাধীন সোনার বাংলা যখন আবার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়, এই মাতৃভূমি যখন দেশীয় দুস্কৃতিদের দ্বারা আবার আহত হয়, সোনার বাংলা যখন তার নেতাকে হারিয়ে স্বৈরশাসকের অধীনে চলে যায় ঠিক সে সময়ে আবার ছাত্র-সমাজ জেগে উঠে এবং গণতন্ত্রের নতুন অভ্যূদয় হয় এই রাষ্ট্রে ১৯৯০ সালে। এটা অতি সহজবোধ্য যে, এই দেশের ইতিহাস রচনায় ছাত্র-সমাজ কিংবা ছাত্র-রাজনীতির কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।
নব্বই দশকের শুরু থেকে এবং একবিংশ শতাব্দী থেকে ছাত্র-রাজনীতির প্রেক্ষাপট পুরোপুরি বদলে যেতে থাকে। এই রাজনীতিতে আদর্শ এবং চেতনার কথা বলা হয় অনেক বেশি কিন্তু চর্চা নেই বললেই চলে। নিকট অতীত এবং বর্তমান ছাত্র-রাজনীতির অবস্থা এতোটাই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে যে সমাজে এর অবস্থান নেই।
তাই পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় ছাত্র রাজনীতির একাল বিবেচনা করলে হতাশা ছাড়া আর কোন কিছুই পাওয়া যায় না।
কিন্তু কেন এই ছাত্র রাজনীতির এই বেহাল দশা? কেন ছাত্র রাজনীতি পথভ্রষ্ট হলো? কেন এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না ? আসলে দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু ছাত্ররাজনীতির হাল ধরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আওয়ামীলীগের সে সময়ের নেতৃবৃন্দরা তাদের দিক নির্দেশনা দিতেন। এবং সেই সময়ের সকল নেতাদের গ্রহনযোগ্যতা ছিল সকলের কাছে। প্রত্যেকে তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে তাদের কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাদের আদর্শিক জায়গায় কেউ ছাড় দেননি। ছাত্র রাজনীতি পথভ্রষ্ট হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো নেতৃত্বের সঙ্কট।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এবং তার পরিবারকে হত্যা করার মাধ্যমে একটি দেশ যেমন তার নেতা হারিয়েছিল ঠিক একই ভাবে ছাত্র নেতারা হারিয়েছিলো তাদের অভিভাবককে। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে যাদের নেতৃত্বে ছাত্র নেতা এবং এই দেশ ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ ছিলো ঘাতকেরা জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে বন্দী করে হত্যা করে সদ্য স্বাধীন দেশকে আরেকবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। যা করেছিল পাকিস্থানের দালাল, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। তারা জানত যে এই দেশের স্বাধীনতা ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই সেই রাতে পরিকল্পিত ভাবে সকল বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে ধরে নিয়ে হত্যা করে।বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়। ঠিক একই ভাবে ১৯৭৫ সালে আরেকবার দেশীয় দুষ্কৃতিকারিরা এই হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। এবং তারা সফল হয়। যার দরুন ছাত্র রাজনীতিতে অপূরণীয় নেতৃত্বের সঙ্কট তৈরী হয়।
গত তিন দশকের ছাত্র রাজনীতি এবং নেতাদের বিবেচনায় আনলে দেখা যায়, তাদের মধ্যে আদর্শের যথেষ্ট ঘাটতি আছে। রেসে ঠিকে থাকার জন্য আদর্শকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। সকলেই নিজের অবস্থানকে ধরে রাখার চেষ্টায় লিপ্ত। দলীয় ভিশন বাস্তবায়নে কেউই সচেষ্ট নয়। যার ফলশ্রুতিতে পাইপলাইনে থাকা ভবিষ্যৎ নেতারা নেতিবাচক রাজনীতি চর্চা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। এই চর্চা ক্রমবর্ধমান যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রিত ছাত্ররাজনীতির চর্চা করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। আর নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার আঁতুড় ঘর হলো পরিবার ও প্রাথমিক শিক্ষা। সেখানে সুনজর দিয়ে জাতিগতভাবে আমরা যে সদাশয়, সদাচার এবং মানবিক সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আধুনিকতা মানে গোঁড়ামি, ভণ্ডামি, নিজের ঐতিহ্যকে বিলিয়ে দেওয়া তা নয়। আধুনিকতা হলো মানসিক উদারতা, সকল ভালো কাজের সঠিক মূল্যায়ন, চিন্তা ও মননে প্রগতিশীল আচরণ, অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা, অন্যের মতামতকে গুরত্ব দেওয়া। এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলেই কেবল স্বাধীনতা মূল্যায়িত হবে। আর এগুলো অর্জন এবং সঠিক বাস্তবায়ন প্রতিফলিত হয় ছাত্র সমাজের মাধ্যমে, তাদের আচার-আচরণ, বিচরণে, কর্মে ও ব্যবহারে। এই গুণাবলী যতটা না সাধারণ জনতা চর্চা করবে তার চেয়ে বেশি করা প্রয়োজন রাজনীতির সাথে যারা যুক্ত আছেন, হবেন।
যেহেতু এই রাজনীতির অংশীদার হচ্ছে ছাত্র। কেন এই ছাত্ররা শিক্ষা মানোন্নয়নে কথা বলছেনা ? কেন তারা শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেনা ? কেন ছাত্রনেতারা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ত্বরান্বিত করার কথা বলছেনা ? কেন শিক্ষার্থীদের হলে শিক্ষার সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলছেন না ? কেন তারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির কথা বলছেন না ? এই সকল প্রশ্নের দ্বায়ভার যেমন ছাত্রনেতারা এড়িয়ে যেতে পারেন না ঠিক একইভাবে তাদের অভিভাবকেরাও পারেন না। এই সকলের জিজ্ঞাসার উত্তর যেদিন থেকে পাওয়া যাবে সেদিন থেকেই ছাত্ররাজনীতি তার গৌরব ফিরে পাবে। সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে ছাত্রনেতারা পরিচালিত হচ্ছে এবং স্বাধীনতার চেতনা ও আদর্শে উজ্জীবিত ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরী হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে। নেতাদের অনুসারী যারা এবং সকল স্থরের জনতার কাছে ইতিবাচক আস্থার বার্তা পৌছাবে। তবেই সেকালের রাজনীতির প্রতিফলন একালে পাওয়া যাবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান ও উন্নয়ন বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।