রাষ্ট্রের জনবিচ্ছিন্নতা ও সংকট
গণতন্ত্রবিষয়ক আলোচনায় যাওয়ার আগে মোটা দাগে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এক. রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সনাতনী ধারণা ও তত্ত্ব বর্তমান বাস্তবতায় কতটা কার্যকর এবং প্রাসঙ্গিক, দুই. রাষ্ট্রব্যবস্থাটি সত্যিকার অর্থে কতটা জনপ্রতিনিধিত্বশীল বা রাষ্ট্রে জন-অধিকার প্রাপ্তি কতটা সবল রয়েছে, তিন. প্রতিনিধিত্বশীল সরকার সত্যিকার অর্থে কতটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক, চার. প্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থা কার্যকরভাবেই জনপ্রতিনিধিত্বশীলতাকে নিশ্চিত করে অধিকাংশ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনে সক্ষম কিনা?
সনাতনী ধারণায় একটি ভূখণ্ড, জনগোষ্ঠী, ব্যবস্থাপক হিসেবে সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলি পূরণ হলেই সেটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং ভূখণ্ডটি নিশ্চিত থাকলেই ওই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে ওই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আসলে নির্ভর করে রাষ্ট্রটি নিজ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পররাষ্ট্রনীতিসহ আপন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাধা-বিঘ্ন এবং প্রভাববিহীন পরিস্থিতিতে নিতে পারে কিনা - তার ওপর। দুর্বল কাঠামো এবং জনবিচ্ছিন্ন সরকারগুলোর পক্ষে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপক হিসেবে সরকার, বহির্দেশীয় রাষ্ট্র, তাদের নানা সংস্থা, করপোরেট শক্তিসমূহ এবং এর দেশীয় অনানুষ্ঠানিক কেন্দ্র ও ব্যক্তিবর্গের বিষয়টি যেমন বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে, তেমনি ক্ষমতাধর রাজনৈতিক দলগুলো এবং এর নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে এসব শক্তিসমূহের সম্পর্কের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। একটি রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণে যদি অক্ষম হয় তাহলে ওই রাষ্ট্রটি কখনই স্বাধীন-সার্বভৌম বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সংজ্ঞাটি পুনর্বিবেচনা এবং সঙ্গে সঙ্গে পুনর্নির্ধারণ জরুরি।
এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতাধর রাজনৈতিক দল ও ক্ষমতাশ্রয়ী ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ওই শক্তিগুলোর একটি ‘অবৈধ ও অশুভ আঁতাত’ গড়ে ওঠে। আর এটা করা হয় উভয় পক্ষ থেকেই। এটি সদা ক্রিয়াশীল থাকে। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানে ১৯৫৮ সাল থেকে বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণে চাপ প্রয়োগ করা হয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের পক্ষ থেকে এবং স্বল্পকালেই বিদেশি সাহায্য আসতে শুরু করে সামরিক-বেসামরিক দুই খাতেই। এর ভাগ-বাটোয়ারা করার মধ্যদিয়ে একটি পুঁজিপতি শ্রেণীর জন্ম হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এমন একটি শ্রেণী গড়ে ওঠে—যারা নিজ দেশের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাকে পরিত্যাগ করে বিদেশি ঋণ ও সাহায্য-সহায়তা ভাগ বাটোয়ারা করতে থাকে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গ এবং স্থায়ীভাবে প্রশাসন ও মধ্য পর্যায়ের একটি শ্রেণী নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এ কাজটি করে যাচ্ছে। এ থেকে সৃষ্ট যে পুঁজি তা স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত এই পুঁজিপতি শ্রেণীটি নির্ভরশীল। এটা নির্ভরশীল পুঁজিবাদ। এখানে অসম বাণিজ্য, বিদেশি ঋণ, সহায়তা, সাহায্যের ভাগাভাগির প্রশ্নটি রয়েছে। এই পুঁজির কারণে ও দাপটে দেশীয় পুঁজির কোনো ধরনের আহরণ এবং বিকাশের সম্ভাবনা রুদ্ধ হয়।
যদি রাষ্ট্রটি সত্যিকার অর্থে স্বাধীন-সার্বভৌম না হয়, তাহলে এর জনগোষ্ঠীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা, আশা-আকাঙ্ক্ষা মূল্যহীন হবে—এটাই স্বাভাবিক। আর এ কারণে রাষ্ট্রটি অধিকাংশ মানুষের কাছে দূরত্বের একটি কাঠামো হিসেবেই আবির্ভূত হবে, অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের সৃষ্টি করবে খোদ রাষ্ট্রই এবং এটাও স্বাভাবিক।
রাষ্ট্রটি যদি সত্যিকার অর্থে স্বাধীন-সার্বভৌম না হয়ে থাকে, তাহলে এর নানা উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন উপসর্গ দেখা দেয় নির্ভরশীল পুঁজির কারণে সৃষ্ট ব্যবস্থা থেকে। রাষ্ট্র, এর সরকার ও অপরাপর প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো না কোনোভাবে দেশজ নয়, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল-রাষ্ট্র ব্যবস্থাটি কতটা প্রতিনিধিত্বশীল। রাষ্ট্রের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা না থাকলে জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের যে বৈরিতা এবং দূরত্বের সৃষ্টি হয়, তাই জনপ্রতিনিধিত্বশীলতা বিদায় নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া প্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল রাষ্ট্রব্যবস্থার ক্রমবিবর্তনের ধারায়। প্রাচীন গ্রিসের নগর রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল দেড় শতাধিক। এর মধ্যে এথেন্স এবং স্পার্টা অগ্রগামী ছিল জ্ঞানে আর রণে। যাই হোক, নগর রাষ্ট্রে দাসরা নাগরিক ছিলেন না। কাজেই তখনকার শাসনব্যবস্থাটি অভিজাতদের এবং নানাবিধ ত্রুটিতে পূর্ণ হলেও গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকতার দিক দিয়ে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের বিষয়টি সেখানে ছিল। কিন্তু রাষ্ট্র যখন বড় হতে থাকে, আকারে এবং জনসংখ্যায়-তখনই প্রতিনিধিত্বশীলতার ধারণাটি স্পষ্ট হতে থাকে এবং এর প্রয়োজনীয়তাও দেখা দেয়।
নিকোলো ম্যাকিয়্যাভেলি তৎকালীন ইতালির ছোট ছোট রাষ্ট্রকে বড় একটি রাষ্ট্রে রূপান্তরের তাত্ত্বিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তিনি সার্বভৌমত্বের স্ফীতি বলতে প্রকারান্তরে অন্য রাষ্ট্রসমূহকে অন্তর্ভুক্তির কথাই বলেছিলেন। রাষ্ট্র যখন বড় হতে থাকে, তখন নানা পর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা প্রতিনিধিত্বশীলতা ও জনশাসন ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর চিন্তাভাবনা করেছিলেন। য্যাঁ য্যঁ রুশো-এর একটি সমাধান পরবর্তীকালে খুঁজে পেলেন ‘সোশ্যাল কনট্রাক্ট’ বা সামাজিক চুক্তির ধারণার মধ্যদিয়ে। এর মূল কথাটি হলো-মানুষ তার স্বাধীনতা রাষ্ট্রের হাতে ছেড়ে দেবে এবং রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সব অধিকার ও চাওয়া-পাওয়া নিশ্চিত করবে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থাটি বিকশিত হতে শুরু করে এবং তা একটা স্থায়ী রূপ পায়। প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থাটির ধারণা এসেছিল শাসন কার্যক্রমে জনগণকে কত বেশি মাত্রায় প্রতিনিধিত্বশীল করা যায়, সে চেষ্টা থেকে। কিন্তু প্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থাটি প্রায়োগিক পর্যায়ে এসে ক্ষমতাবানদেরই শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের মূল কথাটি আসলে হচ্ছে-রাষ্ট্রক্ষমতায় জন-অংশীদারিত্ব সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিশ্চিত করা। এ ছাড়া ক্ষমতা বিকেন্দ্রায়নের বিষয়টিও এর সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই প্রতিনিধিত্বশীলতার ধারণাটি আটকে গেছে নির্দিষ্ট সময় বাদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার মধ্যে। অর্থাৎ প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র বাস্তবে ‘নির্বাচনী গণতন্ত্রে’ রূপ নিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর জনগণ ভোট দিতে পারবে, এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে আধুনিক প্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থার সবশেষ অবস্থা। আর এসব কারণেই প্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থার ধারণাটি ক্ষমতাবানদের শাসনে পরিণত হয়েছে। আর এর মধ্যদিয়েই সাধারণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে রাষ্ট্রব্যবস্থার একটা বিশাল দূরত্ব ও ফারাক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সামগ্রিক যে বৈষম্য, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, অত্যাচার-নিপীড়ন সর্বোপরি সরকারটির স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সমস্ত বিষয়াদি ওই ব্যবস্থার মধ্যদিয়েই নিশ্চিত হয়ে গেছে। রাষ্ট্র এখন অন্তর্গতভাবেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশের শাসকরা ওই কথিত প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের নামে নির্বাচনী গণতন্ত্রের কারণে রাষ্ট্র, সরকার, দল ও ব্যক্তিকে একাকার করে, ব্যক্তিকেই রাষ্ট্রের ওপরে স্থান করে দিচ্ছে। অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দলই সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে যাচ্ছে। আর এতে রাষ্ট্র কাঠামো থেকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের যে নিশ্চয়তা তা বিপন্ন হচ্ছে। এটা যে শুধুমাত্র পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায়ই হচ্ছে তা নয়, সমাজতন্ত্রের নামে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ রয়েছে এমন রাষ্ট্রেও এ রকমটা প্রত্যক্ষ করা যায়।
দুই.
আধুনিক প্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক শাসন কতটা নিশ্চিত সে সম্পর্কেও সংক্ষেপে আলোচনা করা প্রয়োজন। লিবারেল বা উদার গণতন্ত্র ও উদার অর্থনীতির ধারণাটি কয়েক যুগ ধরে বেশ আলোচিত একটি ধারণা। এই উদার গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের নামে মানুষের অধিকারের কিছু রক্ষা কবজের কথা বলা হয়। তবে সাম্প্রতিককালে এই ধারণার তাত্ত্বিকরা বলছেন, নির্বাচনই গণতন্ত্রের একমাত্র গ্যারান্টি নয়। উদার গণতন্ত্র হতে হলে মানুষের সামগ্রিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে বলেও তাঁরা বলছেন। কিন্তু প্রতিনিধিত্বশীল এই উদার ব্যবস্থাটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ওই একই ধারায় নির্বাচনকেন্দ্রিক ধারণার মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকায় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচগুলো কখনই বাস্তবায়িত হয় না। বরং পুরো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচগুলোই অকার্যকর হয়ে পড়ে। আর এটা অধিকাংশ দুর্বল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর দেশগুলোতে হয়ে থাকে বলে ওই তাত্ত্বিকরাই এই গণতন্ত্রের নাম দিয়েছেন ‘অনূদার গণতন্ত্র’। বছর কয়েক আগে ফরিদ জাকারিয়া অনূদার গণতন্ত্রের উত্থান বলে প্রথমে একটি নিবন্ধ এবং পরে একটি বই লিখেছিলেন। আর এতে তিনি ওই সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাস্তবে প্রতিনিধিত্বশীল ধারণার মধ্যদিয়ে উদার গণতন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব্শীলতা নিশ্চিত করা যায়নি। সব পুরোনো ত্রুটিগুলোই কমবেশি রয়ে গেছে। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা যায়, অর্থনৈতিক সক্ষমতার পাশাপাশি রাজনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে উদার গণতন্ত্রের জগতে তেমন একটা কার্যকর কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা খুব কমই হয়েছে। এ কথাটি স্পষ্ট যে, উদার গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে উদারভাবেই ক্ষমতাবানদেরই ক্ষমতাশালী করে রাখার প্রচেষ্টাটি দিন দিন প্রবল হচ্ছে। এটা উন্নত রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই ক্ষমতাবানরা অনুন্নত দেশগুলোতে বহির্দেশীয় নানা শক্তি এবং শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ক্ষমতাবানদের সঙ্গে দাস-মনিব সম্পর্কের কারণে রাষ্ট্রটি ব্যাপক মাত্রায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
তিন.
এ ধরনের জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থাটি যখন বেশি মাত্রায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে যোজন যোজন দূরত্বের জনগোষ্ঠী যখন ওই ব্যবস্থার প্রতি চরম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, তখন ওই ব্যবস্থাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। কখনো সামরিক শাসন বা কখনো একটি কথিত নির্বাচন দেওয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাটি টিকে থাকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, ভেনিজুয়েলাসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলোর উত্থান ঘটছে। তারা জাতীয় স্বার্থরক্ষা ও ন্যায্যতার কথা বলছেন, যদিও পশ্চিমা দুনিয়া এদের ভিন্ন নামে অভিহিত করছে।
খুব সংক্ষেপে এসব বিষয়গুলো আলোচনা করা হলেও এসব প্রশ্নের মীমাংসা ছাড়া গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা নিষ্ফল এবং বৃথা।
আমীর খসরু : সাংবাদিক ও লেখক
বি.দ্র.
এনটিভি অনলাইন সকল মত ও পথের লেখকদের লেখা ছাপাতে আগ্রহী। তবে সেই রচনায় লেখকের মতের সঙ্গে এনটিভির সম্পাদকীয় নীতি বা মত সবসময় অভিন্ন হবে এমন ভাবার অবকাশ নেই। ভিন্নমতকে প্রকাশের সুযোগ দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক চর্চায় শামিল হচ্ছি কেবল।