মক্কায় গাড়িচাপায় আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/11/01/anowar.jpg)
সৌদি আরবের মক্কায় গাড়িচাপায় মোহাম্মদ আনোয়ার (৪৫) নামের আরেক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত আনোয়ার কক্সবাজার জেলা সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিশিষ্ট দানবীর ও ইসলামাবাদ দারুসসালাম দাখিল মাদ্রাসার দাতাসদস্য মৃত জালাল আহমেদের তৃতীয় ছেলে।
আজ রোববার সকালে নিহতের ছোট ভাই ইব্রাহিম চৌধুরী বিল্লু এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় মক্কা জাবালে নূরের সারা আর বাইন এলাকায় রাস্তায় চলাচলের সময় পেছন দিকে আসা একটা জিপ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়।
নিহত আনোয়ারের চার ছেলে ও দুই মেয়েসন্তান রয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মক্কায় বসবাস করতেন। তিনি মক্কায় আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করতেন।
এদিকে আনোয়ারের মৃত্যুর খবর নিজ এলাকা ও মক্কায় সহকর্মীদের কাছে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মরদেহ বর্তমানে মক্কার একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
আনোয়ারের মৃত্যুতে মক্কা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হাবিব উল্লাহ সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ লতিফসহ সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ এবং সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ মক্কা আন্তর্জাতিক কমিটির নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে মক্কা নগরীর খালেদিয়া এলাকায় কাজ করার সময় দ্রুতগতির একটি গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রবাসী বাংলাদেশি শাহ মো. ইমরান (৪০)। তিনি কিশোরগঞ্জের কাটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাতল গ্রামের মৃত শাহ মোহাম্মদ ছিতু মিয়ার ছেলে।
সংসারে সচ্ছলতার আশায় চার বছর আগে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও বৃদ্ধ মাকে রেখে সৌদি আরবে আসেন শাহ মোহাম্মদ ইমরান। মক্কা নগরীতে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী প্রবাসী সেলিম আহমেদ জানান, প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সড়ক পরিচ্ছন্নতার কাজে যোগদানের পর পরই পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি গাড়ি ইমরানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে তাঁর সহকর্মী প্রবাসী বাংলাদেশি এখলাছ উদ্দিন মোবাইল ফোনে নিহতের স্ত্রীকে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমরানের মৃত্যুর খবর জানালে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইমরান অনেক দিন ধরে দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আর দেশে যাওয়া হলো না তাঁর। এবার একেবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
নিহত শাহ মোহাম্মদ ইমরানের মৃতদেহ দ্রুত দেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তাঁর পরিবার।