নেত্রকোনায় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজায় নানা আয়োজন
শারদীয় দূর্গাপূজার আজ মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। কুমারীরা শুদ্ধতার প্রতীক হওয়ায় মাতৃরূপে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য কুমারী কন্যাকে নির্বাচন করা হয়। সাধারণত অষ্টমী বা নবমীতে কুমারী পূজা করা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার অংশ হিসেবে এই পূজা হয়। নেত্রকোনা জেলা শহরের বড়বাজার সর্ববণিক পূজা মন্ডপে এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও মন্ডপে মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবীর প্রতি অঞ্জলি নিবেদন, ঢাকের বাদ্য, উলুধনি, চন্ডী পাঠ, পূজা-অর্চনা করে। ভক্তদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মণ্ডপ প্রাঙ্গন।
এ সময় দেশ ও সমাজের শান্তি, উন্নয়নের জন্য প্রার্থনা করেন ভক্তরা। বিকেলে প্রসাদ বিতরণ ও আরতির মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মহাষ্টমী পূজার। সকাল থেকে বৃষ্টিতে পূজারী ও ভক্তদের মাঝে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও নেত্রকোনা জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতেও একইভাবে ছিল উৎসবের আমেজ। এ বছর নেত্রকোনা সদরসহ ১০টি উপজেলায় ৫২৩টি মন্দির ও মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিকে পৌর শহরের কালীবাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশনসহ বেশ কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ ও বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম জাকারিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায়, পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, ডিডি এলজি জিয়া আহম্মেদ সুমন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মনির হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, জেলা হিন্দু- বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সিতাংশু বিকাশ আচার্য্য, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্ঞানেশ চন্দ্র সরকার, সম্পাদক লিটন পন্ডিতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।