আপনার জিজ্ঞাসা
নামাজ আদায় না করে কি জান্নাত লাভ সম্ভব?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/03/photo-1443834907.jpg)
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭৩৪তম পর্বে আটলান্টা, জর্জিয়া থেকে বেনামাজি ব্যক্তির জান্নাত লাভের বিধান সম্পর্কে ইমেইলে জানতে চেয়েছেন বিলকিস আক্তার । অনুলিখনে ছিলেন মুন্সী আব্দুল কাদির।
প্রশ্ন : If anyone dies from falling into water or dies from burning in fire, and did not pray, will that person go to heaven? (কোনো ব্যক্তি যদি পানিতে ডুবে বা পুড়ে মারা যান, যিনি কখনো সালাত আদায় করেন নাই, তিনি কি জান্নাত লাভ করবেন?)
উত্তর : জান্নাতের বিষয়টি মূলত আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালই সবচেয়ে ভালো জানেন। কে জান্নাতে যাবে কে জাহান্নামে যাবে, এটি মূলত শরীয়তের বিধান নয়। আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন কাকে মাফ করে দেবেন আর কাকে শাস্তি দেবেন এ সিদ্ধান্ত আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালার কাছে।
তবে শরীয়ার বাহ্যিক যে বিধানগুলো আছে, যেসব রিচুয়ালগুলো দিয়েছে সে বাহ্যিক বিধানগুলোর আলোকে শরীয়াহ একটা বিধান দিয়ে থাকে যে, এই এই কাজের মাধ্যমে কেউ জান্নাত লাভ করতে পারবে। কিন্তু জান্নাত লাভ হবে শুধু আল্লাহতায়ালা দিলে তারপরই, অন্যথায় লাভ করা যাবে না।
এখন প্রশ্ন হলো নামাজ আদায় না করে সে জান্নাতে যেতে পারবে কি না? না। সালাত যদি সে আদায় না করে থাকে, তাহলে তার জন্য আল্লাহু সুবহানাহুতায়ালার কাছে জান্নাত লাভের কোনো সুযোগ নেই, কারণ এই কাজ কুফরি।
সুতরাং তিনি জান্নাত লাভ করার শরীয়ত সম্মত কোনো বিধান নেই। অর্থাৎ শরীয়াহ অনুযায়ী তাঁর জান্নাত লাভ করতে পারবে না। যেহেতু তার ওপর মৌলিক ঈমান প্রতিরক্ষার যে দায়িত্ব, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, অর্থাৎ সালাত, সেই সালাতই তিনি আদায় করেননি। সুতরাং তিনি জান্নাত লাভের কোনো সুযোগ নেই।
ঈমান আর কুফরির মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করে সালাত। সেটিই তিনি করেননি। সুতরাং তার এই ইবাদতগুলো, তার আমলগুলো যা হবে, যদি তিনি সালাত আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁর কিছুই আল্লাহ তায়ালার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কিছুই কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালার কাছে তিনি পাবেন না, যেহেতু আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা মূলত ঈমানের ওপর প্রত্যেকটি ব্যক্তির পুরস্কার যেগুলো আছে তা দেবেন। মানে সওয়াব যা আছে সবকিছু নির্ভর করে ঈমানের ওপর। তাই ঈমান না থাকলে আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা আখিরাতে তাঁর জন্য কোনো প্রতিদান রাখেননি।