স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন নিদর্শন আল আকসা জামে মসজিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর বাজারে নির্মিত স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন নিদর্শন আল আকসা জামে মসজিদটি সবার নজর কাড়ে। ১২ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যায় হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে রয়েছে ৫৯ ফুট এবং প্রস্থে ৫৭ ফুট।
এই মসজিদটিতে একসঙ্গে ১৪টি কাতারে নামাজ পড়তে পারে প্রায় এক হাজার মুসল্লি। মসজিদটির সুউচ্চ তিনটি মিনার আর একটি বিশাল গম্বুজ আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দেয়। বাতাসে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি মসজিদ চত্বরে তৈরি করে এক সুমধুর পরিবেশ।
রতনপুর গ্রামের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব আরিফুর রহমান ২০১৭ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন। তাকে গ্রামবাসীও মসজিদটি নির্মাণে কিছুটা সহযোগিতা করেন। বর্তমানে তিনি মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নির্মাণের প্রায় সাত বছর পেরিয়ে গেলেও দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনার নির্মাণকাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। চারটি মিনারের মধ্যে একটি মিনারের কাজ সহ আরো কিছু কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন বহু দর্শনার্থী।মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে সকল বয়সের মানুষকে মুগ্ধ করে। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা। তারা বলেন, নবীনগরের মধ্যে যতগুলো মসজিদ আছে, তার মধ্যে অন্যতম নান্দনিক মসজিদ হচ্ছে রতনপুরের আল আকসা জামে মসজিদ। এই মসজিদে যারা আসবে তাদের হৃদয় শীতল হয়ে যাবে। এই মসজিদে যে নয়নাভিরাম দৃশ্যপট ও কারুকার্য রয়েছে, তা সাধারণত আশেপাশের অন্য কোনো মসজিদে দেখা যায় না।
স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন, আমাদের পুরোনো যে মসজিদ ঘরটি ছিল ওইখানে জায়গা কম থাকার কারণে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারেনি। এখন এই মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ভাবে নামাজ আদায় করতে পারছি এবং দূর-দূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা এখানে এসে নামাজ পড়ছে। এখানে নামাজ পড়ে আমরা মনে অনেক প্রশান্তি পাই।
আল আকসা জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের সভাপতি আলহাজ্ব আরিফুর রহমান ও গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দৃষ্টিনন্দনভাবে আল্লাহর ঘর মসজিদটি নির্মাণ করতে পেরেছি। পুরাতন মসজিদ ঘরটিতে মুসল্লীদের জায়গা না হওয়ায় আমাদের গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা। সেই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে ২০১৭ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, রাস্তার পাশে হওয়াতে আমাদের মসজিদটি অনেকে দেখতেও আসেন আবার অনেকে নামাজ পড়তেও আসেন। মসজিদের আরো একটি মিনার ও বাকি কিছু কাজ সমাপ্ত হলে মসজিদটির পরিপূর্ণতা পাবে।