পুঁজিবাজার ও এক্সচেঞ্জ বিষয়ক বাস্তবিক জ্ঞান আহরণ, এক্সচেঞ্জের বিভিন্ন বিভাগগুলোর কাজের সমন্বয় এবং প্রায়োগিক পরিচালনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএআইইউএসটি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল গত রোববার (৬ আগস্ট) আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পিএলসির কার্যালয় পরিদর্শন করেছে।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বিনিয়োগ শিক্ষার অংশ হিসেবে সিএসই প্রতিনিয়তই এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়ে থাকে।

ওই অনুষ্ঠানে সিএসইর কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিজিএম অ্যান্ড হেড অব সারভিলেন্স অ্যান্ড মপস মো. নাহিদুল ইসলাম খান, হেড অব ইন্সপেকশন অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট আরিফ আহমেদ ও ট্রেক বিভাগের ম্যানেজার আদনান আব্দুল রাকিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হেড অব ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস এম সাদেক আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বিএআইইউএসটি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাতেমা জোহরা, সহকারী অধ্যাপক তৌহিদ আহমেদ চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক মো. শাহানুর ইসলাম।

সিএসইর ডিজিএম অ্যান্ড হেড অব সারভিলেন্স অ্যান্ড মপস মো. নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য খুব জরুরি হলো দক্ষ ও যোগ্য ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারী তৈরি করা এবং সেই লক্ষ্যে সিএসই সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছে। বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষন প্রদান, সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন, শিক্ষা বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পরিদর্শনের মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়মিতই করা হচ্ছে।’

নাহিদুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাকালীন সময় থেকেই পুঁজিবাজার এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানার ও গবেষণার জন্য সব সময় সিএসইতে আমন্ত্রণ থাকবে।’ শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত এই ধরনের পরিদর্শন অব্যাহত রাখবে এবং নিজেকে জ্ঞানসমৃদ্ধ করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএআইইউএসটির সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাতেমা জোহরা বলেন, ‘পুঁজিবাজারের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পৃক্ত হতে চাইলে এ সম্পর্কে জানা এবং এ বিষয়ে গবেষণা করা শিক্ষারত অবস্থাতেই শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে নিজেকে এই পেশার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। কারণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা বিনিয়োগ করার পূর্বেই পরিকল্পনাতে রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী বিনিয়োগ করেল পুঁজিবাজার যোগ্য ও দক্ষ বিনিয়োগকারী পাবে, যা এই বাজারকে সমৃদ্ধ করবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমানে প্রচলিত ও আগত প্রোডাক্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। এছাড়া আর্থিক পরিকল্পনা, ঝুঁকি ও পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত রিটার্ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে সুরক্ষার জন্য তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা প্রদান করতে ও প্রায়োগিক পরিচালনা বিষয়ে অবহিত করতে এম সাদেক আহমেদ তার উপস্থাপনা প্রদান করেন। এরপর বিভাগীয় প্রধানরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।