দরপতনে বেশিরভাগ কোম্পানি, কমেছে মূলধনও
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে আজ সোমবার (৪ মার্চ)। শেয়ার বেচার চাপ বাড়ায় এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়। লেনদেন পরিমাণ কমেছে। লেনদেন ৮০০ কোটি টাকার ঘরের কাছাকাছিতে এসেছে। কমেছে বাজারে মূলধনের পরিমাণ। সূচক পতনের একই চিত্র ছিল অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। কমেছে লেনদেনসহ পুঁজিবাজারে মূলধন পরিমান। বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেয়ার বিক্রয়ের চাপে ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক পতন হয়। লেনদেন শুরুর প্রথম আট মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতন হয় ৩৮ পয়েন্ট। ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করেছিল ছয় হাজার ১৭৭ পয়েন্টে। পরে সূচক বাড়তে থাকে। কমে শেয়ার বিক্রির চাপ। এতে ডিএসইএক্স পতন বৃত্ত ছোট হতে থাকে। লেনদেন শুরুর ৪৭ মিনিটে সূচক পতন দাঁড়ায় ২৫ পয়েন্টে। বেলার বাড়া সাথে সাথে সেই সূচক কমার বৃত্ত বড় হতে থাকে। লেনদেনে শেষে ডিএসইএক্স ৩৯ কমেছে। লেনদেন ৭৯৩ কোটি টাকার ছাড়িয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস রোববার লেনদেন ৯৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এদিন পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫২ হাজার ২২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৫৭ হাজার ৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। সোমবার সূচক ডিএসইএক্স ৩৯ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭৫ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক পাঁচ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৪৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক পাঁচ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৮ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির ও কমেছে ২১৪টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৬৭টির।
আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফু-ওয়াং সিরামিকের ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বিডি থাইয়ের ১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, আফতাব অটোর ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা, গ্রামীনফোনের ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১৪ কোটি চার লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার ১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৪৫ হাজার ৬৯১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৪৯ হাজার ২০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০০ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৪০ দশমিক ২৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক চার দশমিক ৬০ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৪১ দশমিক শূন্য সাত পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৫১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ছয় দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৭টির এবং কমেছে ১৪৬টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২৮টির।