২৩ শতাংশ কমে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স দরপতনের শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর কমেছে ২৩ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৩ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল সাত কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের (২০২৩ সাল) তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের বছরের (২০২২) একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৪৫ পয়সা। গত বছরের প্রথম নয় মাস বা তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৪৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ৬১ পয়সা। আলোচিত তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৩ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ২১ টাকা ১৫ পয়সা।
২০২২ সালের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল এক টাকা ৮৬ পয়সা। আগের ২০২১ বছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল দুই টাকা ৩৭ পয়সা। সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৪৫ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭২ পয়সা।
১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা চার কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১৪টি। রিজার্ভে রয়েছে ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৪ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তাহে দর কমার তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কসের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, সিকদার ইন্স্যুরেন্সের (‘এন’ ক্যাটাগরি) ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, পেপার প্রেসেসিংয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এনসিসিবিএল ফান্ড ওয়ানের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দমমিক ৫৯ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইলের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশের দরপতন হয়।