১৬ শতাংশ কমে ইস্টার্ন ব্যাংক পতনের শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ব্যাংকের গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ১০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে পাঁচ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে গত বছরের সমাপ্ত (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল পাঁচ দশমিক পাঁচ পয়সা। আগের ২০২২ বছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল চার টাকা ২৪ পয়সা। সমাপ্ত বছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল সাত টাকা ৯১ পয়সা। আগের ২০২২ বছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ২৯ টাকা ২৬ পয়সা।
১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইস্টার্ন ব্যাংক। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫৮ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪টি। রিজার্ভে দুই হাজার ৩৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ৪৭ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য আট এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২২ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তাহে দর কমার তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমারেল্ড অয়েলের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আইবিবিএলপি বন্ডের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বিডি থাইয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, গোল্ডেন সনের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের (‘এন’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং একমি পেস্টিসাইডের (‘বি’ ক্যাটাগরি) আট দশমিক ২৬ শতাংশের দরপতন হয়।