নাফিজ সরাফাতের প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে সব কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিটি চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন। অভিযোগ আছে, তিনি পুঁজিবাজারে কারসাজি করতেন।
বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হককে প্রধান করে আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন বিএসইসি। বাকি দুই সদস্য হলেন সংস্থাটির উপপরিচালক রফিকুন নবী ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির পরিচালক মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করা হয়। আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের অনিয়ম তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, উপ-পরিচালক মো. রফিকুন্নবী ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা।
তদন্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে বিএসইসি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হলো। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
জানা যায়, বিএসইসির এই তদন্ত কমিটি স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের ‘অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ বা বিকল্প বিনিয়োগ বিধিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না, তা খতিয়ে দেখতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিষ্ঠানটির সকল বিনিয়োগের বৈধ প্রমাণ ও এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিনিয়োগ থেকে উদ্ভূত স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। কমিটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করবে এবং হিসাব বছর শেষের ব্যালেন্স যাচাই করবে। একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোতে মেয়াদি আমানত ও অন্যান্য ব্যালেন্স থেকে পাওয়া সুদ/মুনাফার বৈধ প্রমাণাদি পরীক্ষা করবে। এছাড়া তদন্ত কমিটি তহবিল ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য পক্ষের ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধভাবে অর্থ পরিশোধের (যদি থাকে) বিষয়ে তদন্ত করবে।