অন্যরকম সেঞ্চুরির মাইলফলকে মাহমুদউল্লাহ

Looks like you've blocked notifications!

চোট কাটিয়ে অবশেষে মাঠে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা পর্বেই ফিরেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক। গত মাসে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ভারতের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচ মিস করেন তিনি। তবে আজ বিপিএলে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেই অন্যরকম এক সেঞ্চুরি করলেন মাহমুদউল্লাহ।

ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট শিকার করলেন মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে রংপুরের জহিরুল ইসলামকে আউট করে ঘরোয়া ক্রিকেটে একশ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ২০৪তম ম্যাচে বল হাতে এই কীর্তি গড়েন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮৩ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর উইকেট ৩১।

মাহমুদউল্লাহর এই কীর্তির দিনে তাঁর দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ছয় উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রেঞ্জার্সকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। ওপেনিং জুটিতে প্রথম তিন ওভারে মোহাম্মদ শেহজাদকে নিয়ে তোলেন ২৫ রান। তবে তৃতীয় ওভারে শেহজাদকে হারায় রংপুর। ফেরার আগে ৯ বলে ৯ রান করেন শেহজাদ।

তবে সতীর্থকে হারিয়েও দারুণ ছন্দে ব্যাট চালান নাঈম। তৃতীয় উইকেটে দলকে টেনে নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র ২৬ বলে ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় তুলে নেন অর্ধশতক। এর মধ্যে টম এবিল ও জহুরুল ইসলামকে হারায় রংপুর।

সতীর্থদের দ্রুত আসা-যাওয়ার মধ্যেও টিকে ছিলেন নাঈম। খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে রংপুর রেঞ্জার্স। নাঈম ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন মোহাম্মদ নবি।

চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে সমান দুই করে উইকেট নিয়েছেন রায়ান বার্ল ও উইলিয়ামস। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এরই মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এর মধ্যে বুধবার প্রথম ম্যাচে জিতলেও পরের ম্যাচটি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হেরেছে দলটি। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এক ম্যাচ খেলেছে রংপুর রেঞ্জার্স। ওই ম্যাচটিতে হারের মুখ দেখেছে দলটি। তাই জয়ে ফিরতে এই ম্যাচটির দিকে মুখিয়ে আছে রেঞ্জার্সরা।