অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মাশরাফীর সন্তানরাও

Looks like you've blocked notifications!

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নড়াইলে করোনার কারণে কর্মহীন হওয়া মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন। চিকিৎসক, নার্স ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য দিচ্ছেন ২০০ পিস পিপিই। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে পাওয়া বেতনের অর্ধেকটাও দান করেছেন দুস্থদের জন্য গড়া তহবিলে।

ঢাকায় অবস্থান করে বসে নেই মাশরাফীর পরিবারও। ঢাকা শহরের অসহায়-দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর দুই সন্তান হুমায়রা মোর্ত্তজা ও সাহেল মোর্ত্তজা। দুটি ছবিসহ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন মাশরাফীর ভাই মোরসালিন বিন মোর্ত্তজা। ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, এই শহরে তোমাদের পাশে আমরাও যে আছি।’

করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব থমকে গেছে। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। করোনার কবলে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বের সব টুর্নামেন্ট। তবে করোনার কারণে ঘরে থাকা বিশ্বের খেলোয়াড়রা চুপ করে নেই। বিশ্বের বিভিন্ন খেলোয়াড়ই করোনা মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সে তালিকায় আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও।

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিজের জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন করে যাচ্ছেন মাশরাফী। সম্প্রতি কবি হেলাল হাফিজের কবিতার মতো করে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেজে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে মাশরাফী বলেন, ‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়.....। নিরাপদ থাকুন, ঘরে থাকুন।’

আরেক স্ট্যাটাসে মাশরাফী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ডাকতে ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুরোধ করেন। ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় মাশরাফী বলেন, “আশা করি, সবাই ভালো আছেন। যদিও ‘ভালো আছেন’ কথাটা এ মুহূর্তে বলা ঠিক কি না, কারণ সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যেখানেই যাবেন দেখবেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। তবে আতঙ্কিত না হওয়ারও কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর বড় বড় দেশও এখন বিপর্যস্ত। তারা কোনোভাবেই ট্যাকল দিতে পারছে না।”

দেশের মানুষকে পরামর্শ দিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘বড় বড় দেশকে দেখছি, তারা ভেঙে পড়ছে। আমাদের দেশটা তো এমনিতে ছোট, মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের যদি এ রকম সংকট আসে, আল্লাহ না করুক, কী হতে পারে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। এ মুহূর্তে করণীয় অনেক কিছু আছে, যেগুলো আমি মনে করি আমাদের সবারই করা উচিত। এক হচ্ছে, ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকা আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। আল্লাহর কাছে বলা যে, আল্লাহ আমাদের রহমত করুন।’