অস্ট্রেলিয়া সফরের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন হার্দিক
ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা তারকা হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাট ও বল হাতে দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে নাকি তিনি সুযোগ নাও পেতে পারেন।
অনেকদিন পিঠের চোটে ভুগেছিলেন হার্দিক। আইপিএলের আগেই সেরে উঠেছেন তিনি। চলমান আইপিএলে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলছেন। অথচ নয় ম্যাচ খেললেও এক ওভারও বল করেননি। তাই আলোচনা শুরু হয়ে যায়, অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে তাঁকে নেওয়া হবে কি না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ৩২ জনের দল ঘোষণা করতে পারে ভারত। নির্বাচকরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি হার্দিককে দলে নেওয়া হবে কি না।
২০১৯ সালে লন্ডনে পিঠে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল হার্দিকের। এরপর আর বল করেননি। আপাতত জাহির খানের তত্ত্বাবধানে নতুন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তাই শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে হার্দিককে দলে রাখতে নাকি রাজি নন ভারতীয় নির্বাচকরা।
ভারতীয় দল ও আইপিএল থেকে ফিরে যাওয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা সিডনিতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন, সেখানেই পাশে অনুশীলন করবেন তাঁরা। এই চুক্তির ফলে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে তৈরি হওয়া শঙ্কা অনেকখানি কেটেছে।
আগামী ২৭ নভেম্বর শুরু হচ্ছে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম একদিনের ম্যাচে লড়বে দুই দল। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরু হওয়ার আগে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে ২৯ নভেম্বর, সিডনিতে। তৃতীয় ম্যাচে দুই দল খেলবে ১ ডিসেম্বর। ক্যানবেরায় হবে ম্যাচটি।
ক্যানবেরায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর, এরপর সিডনিতে ফিরে ৬ ও ৮ ডিসেম্বর দুটি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
১৭ ডিসেম্বর থেকে ভারতের পিঙ্ক বল টেস্ট সিরিজ শুরু হবে অ্যাডিলেড ওভালে। বক্সিং ডে টেস্ট ২৬-৩০ ডিসেম্বর আয়োজন হওয়ার কথা। তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে সিডনি (৭-১১ জানুয়ারি) ও বিসব্রেনে (১৫-১৯ জানুয়ারি)।
সিরিজটি বেশ লম্বা, তাই ৩২ জন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া পাঠাতে পারে বিসিসিআই। সাপোর্ট স্টাফ মিলে ৫০ জন অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে ভারতীয় দল।