অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড : রোড টু ফাইনাল

Looks like you've blocked notifications!
বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ছবি : সংগৃহীত

এক মাস ধরে চলতে থাকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিদায়ী ঘণ্টা বেজে উঠেছে। ১৬ দলের লড়াই এসে ঠেকেছে দুদলে। তারা হলো—অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। রোববার শিরোপা মঞ্চে মুখোমুখি হবে দুদল। এদের মধ্য থেকেই এবারের টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বেছে নেবে ক্রিকেট বিশ্ব।

শিরোপা লড়াইয়ের আগে জেনে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার গল্প :

নিউজিল্যান্ড (সুপার টুয়েলভ)

প্রথম প্রতিপক্ষ পাকিস্তান : নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে হেরে শুরুর যাত্রায় ধাক্কা খায় কিউইরা। ওই ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড।

দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ ভারত : দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল মূলত নিউজিল্যান্ডের টার্নিং পয়েন্ট। টিকে থাকতে ওই ম্যাচটিতে জিততেই হতো কিউইদের। সেই লক্ষ্যে তাদের সফলই বলা চলে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখে কেন উইলিয়ামসনের দল।

তৃতীয় প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড : এই ম্যাচ নিয়ে ততটা ভাবতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। কিছুটা লড়াই জমিয়েও কিউইদের সঙ্গে পারেনি স্কটিশরা। ১৬ রানের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

চতুর্থ প্রতিপক্ষ নামিবিয়া : এই ম্যাচেও সহজ জয় পায় নিউজিল্যান্ড। দুর্বল নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেয় তারা। ৫২ রানের জয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের আশা আরো বাড়ায় কেন উইলিয়ামসনের দল।

পঞ্চম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান : সেমিফাইনালে যেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াইটি ছিল বাঁচামরার। কারণ সেমিফাইনালে যেতে এই ম্যাচে রানরেট বাড়াতে হতো তাদের। অবশেষে তাই হলো। আট উইকেটের জয়ে রানরেট বাড়িয়ে রাখে কিউইরা। যা তাদের সেমিফাইনালে উঠতে সাহায্য করে।

সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড :  সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ড ছিল খুব কঠিন। দুদলের লড়াইয়ে একপর্যায়ে মনে হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ছিটকে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে রক্ষা করেন মিচেল ও জিমি নিশাম। দুজনের দায়িত্বশীলতায় এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়া (সুপার টুয়েলভ)

প্রথম প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা : নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্ত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রোমাঞ্চকর ওই ম্যাচে ৫ উইকেট জয় পায় অসিরা।

দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে সাত উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় অ্যারন ফিঞ্চের দল।

তৃতীয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড : সুপার টুয়েলভে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই পরীক্ষায় টিকতে পারেনি অসিরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম হারের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটিতে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারে অসিরা।

চতুর্থ প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ : ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবতে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৫ ওভারের মধ্যে ৭৩ রানে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

পঞ্চম প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেলেও সেমিতে যেতে রানরেটে লড়াই করতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি। প্রোটিয়াদের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অসিরা।

সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান : পুরো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছন্দে ছিল পাকিস্তান। তাই সেমিতে ফেভারিটের তকমা ছিল তাদেরই। কিন্তু এই ফেভারিটদের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করে বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটের জয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকেট পায় অ্যারন ফিঞ্চের দল।