আইসিসি চেয়ারম্যান পদে সৌরভের নাম আবার আলোচনায়
বিসিসিআই সভাপতি পদে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। তাই কিছুদিন ধরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সভাপতি পদে সৌরভকে নিয়ে গুঞ্জন চলছে।
আইসিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে শশাঙ্ক মনোহর ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই এই আলোচনা শুরু হয়ে যায়। গত সোমবার আইসিসি এক বিবৃতি জানিয়েছে, পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রার্থীদের নাম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৮ অক্টোবর। আইসিসির অডিট কমিটির স্বতন্ত্র এক চেয়ারম্যানই নির্বাচন সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
অবশ্য কীভাবে হবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করে জানায়নি আইসিসি। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই নতুন চেয়ারম্যান কাজ শুরু করবেন। তবে একজন প্রার্থীকে আইসিসির চেয়ারম্যান হতে হলে আইসিসির ১৭ জন বোর্ড সদস্যাদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হবে। ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবরে জানা গেছে, নির্বাচন জিতলে নয়জনের ভোট পেলেই যথেষ্ট। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে একজন প্রার্থীকে বর্তমান অথবা সাবেক আইসিসি পরিচালকের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
এই নিয়মে চেয়ারম্যান পদের জন্য বিসিসিআই সভাপতি অনায়াসেই নাম জমা দিতে পারেন। কারণ ক্রিকেট প্রশাসনে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে সৌরভের। দীর্ঘদিন তিনি সিএবি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে কুমার সাঙ্গাকারা গ্রাহেম স্মিথের মতো সাবেক তারকাও সৌরভকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে চাইছেন। সৌরভ যথেষ্টই যোগ্য প্রার্থী।
সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার কিছুদিন আগেই মন্তব্য করেছিলেন, আইসিসিকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো দক্ষতা সৌরভের রয়েছে। তিনি বলেন, 'বিসিসিআই সভাপতির মতো কঠিন দায়িত্ব যিনি অনায়াসে সামলাচ্ছেন, কে বলতে পারে ভবিষ্যতে তাঁর হাতেই আইসিসির দায়িত্বভার উঠবে না?'
গাওয়ারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এবার দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ডিরেক্টর অব ক্রিকেট গ্রায়েম স্মিথ বলেন, 'এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সৌরভের মতো ক্রিকেটার আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।'
এখন প্রশ্ন, সৌরভের পরবর্তী আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা আদৌ রয়েছে কি না। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুলাইয়ে। আরো দুই বছরের জন্য তিনি আইসিসি প্রধানের পদে থেকে যেতে পারতেন। তবে তিনি নিজে থেকেই সরে যেতে চান।
ভারতীয় বোর্ডের নতুন সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে একটানা ছয় বছরের বেশি দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না কেউ। সিএবি ও বিসিসিআই মিলিয়ে সৌরভের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে জুলাইয়ে। অর্থাৎ বোর্ড প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার নয় মাস পরই বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতে হবে ভারতীয় সাবেক অধিনায়ককে। ভারতীয় বোর্ড এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে সৌরভের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সেই শুনানি এখনো শুরু হয়নি। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত তা মেনে না নিলে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন থেকে আপাতত সরে দাঁড়াতে হবে সৌরভকে। তখন আইসিসির দায়িত্ব নিতে বাধা থাকবে না টিম ইন্ডিয়ার সাবেক অধিনায়কের।