আগামী বছর ইংল্যান্ডে ক্যাম্প করবেন বিশ্বকাপজয়ী যুবারা
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বড় সুসংবাদ দিয়েছিলেন যুব ক্রিকেটাররা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দেন আকবর আলীরা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পর এই দলটিকে নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা সাজায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইংল্যান্ডে ক্যাম্প করানো, বিশেষ কোচ রাখা, স্কিল বাড়ানোসহ একাধিক পরিকল্পনা করে বিসিবি। কিন্তু বিসিবির পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কবলে আপাতত বাংলাদেশ ক্রিকেটেই নেমেছে স্থবিরতা। একের পর এক সিরিজ স্থগিত হওয়ার এবার পিছিয়ে গেল যুবাদের ইংল্যান্ড ক্যাম্প। এক বছর পিছিয়ে আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে হবে যুবাদের ইংল্যান্ড ক্যাম্প।
গতকাল বুধবার বিসিবিতে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের পাশাপাশি নতুন অনূর্ধ্ব-১৯ দল গঠন করা নিয়েও আলোচনা হয়। অনুমতি পেলে ঈদের পর যুবাদের ক্যাম্প শুরু করতে চায় গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।
সভা শেষে গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা অনেক ভালো কিছু করতে চাই। ইংল্যান্ডে আলাপ করেছিলাম, ওখানে লম্বা সময় ক্যাম্প করতে পারি কি না। কিন্তু এই বছর তো আমরা মিস করছি। কারণ জুলাই মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গিয়ে ওই কন্ডিশনটা পাওয়া যাবে না। আমরা এখন থেকেই ভেবে রাখছি, আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ের দিকে যেন ৬০ দিনের ক্যাম্প করতে পারি কোনো একটা কাউন্টিতে।’
সুজন আরো বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস থাকবে ক্যাম্প নিয়ে। কিন্তু আমরা ম্যাচও খেলব। ট্রেনিং সেশনে স্পেশালিষ্ট কোচদের আমন্ত্রণ জানাতে পারি। ওরকম কন্ডিশনে যদি ছেলেরা ট্রেনিং করতে পারে, তাহলে মান বাড়বে। কাজেই তাদের যদি উপযুক্ত ট্রেনিং আর ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে পারি, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, বাজেট তৈরি করেছি। এই বছর তো আর হবে না, পরের বছর করার জন্য পরিকল্পনা করে রাখছি।’
নতুন দল গঠন নিয়ে সুজন বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মাত্র ১৬ মাস দূরে আছে। অনেক মাস পিছিয়ে গেছি আমরা। মাঠে যেতে পারছি না, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারছি না। আজকে কথা হয়েছে, ঈদের পর যদি দেশের পরিস্থিতি ভালো হয় এবং সরকারের অনুমতি যদি পাই, বোর্ড থেকে যদি ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়, তাহলে আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নতুন ক্যাম্পটা শুরু করতে চাই। আগস্টের শেষ দিকে যদি শুরু করতে পারি। সেটা বিকেএসপিতে করার চিন্তা করছি। বিকেএসপিতে ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেল পুরোটাই আমরা যদি পেয়ে যাই, তাহলে ওখানে কোয়ারেন্টিন করে, পুরো লকডাউন করে শুরু করব। চার সপ্তাহের একটা ট্রেনিং হবে। আমাদের নির্বাচকরা যাবে। যেহেতু যুব ক্রিকেটে ওয়ানডে টুর্নামেন্টটা হয়নি, সেহেতু সিলেকশনটাও হয়নি। কাজেই ক্যাম্প থেকেই আমরা সিলেকশন করব বলে ভাবছি।’