আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!

Looks like you've blocked notifications!
আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান বাহিনী। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও কাবুল ছেড়ে তাজিকিস্তানে চলে গেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে নাকি আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি ক্রিকেট মাঠ দখল করে নিয়েছে তালেবান।

রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, কান্দাহার, কুন্দুজ ও খোস্তের তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান বাহিনী। মাজার-ই-শরিফ ও কাবুলের দুটি স্টেডিয়ামও পতনের মুখে। জালালাবাদে আফগান সরকারের তৈরি গাজি আমানুল্লাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেকোনো সময়ই দখল করে নেবে তালেবান যোদ্ধারা।

এমন অবস্থায় আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আফগানিস্তানের খেলার কথা।  তারা খেলবে কি না সেটাও এখন অনিশ্চিত।

এমন অবস্থায় দেশটির তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান টুইট করে শান্তির আহ্বান জানান। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘শান্তি’। আফগানিস্তানের পতাকার সঙ্গে প্রার্থনার ইমোজিও ব্যবহার করেছেন তিনি।

এদিকে আফগানিস্তানের সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার আফগান বাসিন্দা আর বিদেশি নাগরিক কাবুল থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিমানবন্দরে হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে।

ষাটটির বেশি দেশ এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা আর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। যাঁরা চলে যেতে চান, তাঁদের নিরাপদে যেতে দেওয়ার জন্যও তালেবানের প্রতি বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আজ দিনের শুরুতে দূতাবাস খালি করার কাজ শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং কূটনৈতিক ভবনগুলো থেকে পতাকা নামিয়ে নিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, তাদের সৈন্যরা কাবুলের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।