ইতিহাস গড়তে পারবে তো বাংলাদেশ?
যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে ওঠে তারা। এবার যুবা টাইগারদের সামনে নতুন ই্তিহাস গড়ার হাতছানি। আগামীকাল রোববার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিবেশি দেশ ভারতকে হারাতে পারলেই প্রথম বিশ্বসেরা হওয়ার মুকুট উঠবে শরিফুল-আকবরদের মাথায়। আগামীকাল ফাইনাল মঞ্চে সেই ইতিহাস গড়তে পারবে তো বাংলাদেশ?
ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলা দীর্ঘদিনের। লম্বা সময়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাইমুর-হাবিবুল-মাশরাফি-সাকিবদের মতো তারকারা। কিন্তু কেউই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার মতো সাফল্য এনে দিতে পারেনি। জাতীয় দল কেন, কোনো পর্যায়েই পারেনি কেউ।
নিজেদের মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাজমুল হোসেন শান্তদের নিয়ে গড়া দলটাও পারেনি যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের গণ্ডি টপকে ফাইনালে যেতে। তবে মাশরাফি-সাকিবরা যা পারেননি সেটা করে দেখালেন অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলি। বিদেশের মাটিতে নিজেদের সামর্থ্যর প্রমাণ দিয়েছেন মাহমুদুল-রাকিবুল হাসানরা।
অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্লাইট ধরার আগে অধিনায়ক আকবর আলি জানিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর দল ফাইনাল খেলার মতো। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দল সেমি ফাইনাল কেন, ফাইনালেও খেলা সম্ভব। আমরা সাম্প্রতিক অতীতে যেমন খেলেছি এবং আমাদের টিম কম্বিনেশন যেমন দাঁড়িয়েছে, ফাইনালে খেলার মতো টিম আমাদের হয়েছে।’
ধীরে ধীরে ঠিকই দলকে ফাইনালের মঞ্চে নিয়ে গেলেন আকবর। আর মাত্র একধাপ। সেটা পার করলেই বিশ্বকাপ ধরার স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশের।
গত বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে নিউজল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্য পায় লাল-সবুজের দেশ। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা সাফল্য ছিল মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চার যাওয়া ও এশিয়া কাপের ফাইনাল।
এবার সব ছাড়িয়ে আকবর আলির হাত ধরে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। বিশ্বসেরা হওয়ার মঞ্চে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুখোমুখি হবে আকবর আলির দল। সেই ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারলেই বৈশ্বিক আসরে শিরোপা জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
যুব বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল : আকবর আলি (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয় (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন লিমন, প্রান্তিক নওরোজ, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তানজিম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহিন আলম, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ।
স্ট্যান্ড-বাই : আমিত হাসান, মেহরাব হোসেন, আশরাফুল ইসলাম সিয়াম, মিনহাজুর রহমান মোহান্না, রুহেল মিয়া, আসাদুল্লাহ হেল গালিব।