‘এখনই নিজেদের সুপার স্টার ভাববে না’
বিশ্বকাপ যাওয়ার একদিন আগেও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৯ দল নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। মিডিয়াতেও তেমন আলোচিত হয়নি যুবাদের বিশ্বকাপ। অথচ সে যুবাদের নিয়েই আনন্দের জোয়ারে ভাসছে পুরো বাংলাদেশ। কারণ যুবারাই প্রথম দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছেন। তাতে যুবাদের নিয়ে মেতেছে পুরো দেশ।
আজ বুধবার বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে দেশে ফিরেছে যুব দল। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকবররা পা রাখতেই হাজারো দর্শকের ঢল। দর্শক ছেয়ে গেছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রাঙ্গণও। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ক্রিকেটারদের এখনই নিজেদের সুপারস্টার ভাবতে নিষেধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন,‘ওদের অনেক কথাই বলেছি। সব তো আপনাদের বলা যাবে না। তবে ওদের বলেছি যে সুপার স্টার হওয়া যাবে না। সুপার স্টার হওয়ার চিন্তা মাথায় আনলেই ক্যারিয়ার শেষ। ভালো করলে এমনিতেই সুপার স্টার হয়ে যাবে। এ ছাড়া এটাও ভাবা যাবে না যে তোমাদের ছাড়া দল চলবে না। তোমাদের সামনে অনেক পথ। আরো চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তোমরা প্রস্তুত হও।’
এই দলটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিসিবি। এদের নিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ দলের ইউনিট গড়বে বোর্ড। সভাপতি বলেন, ‘ওদেরকে বলেছি, আর্থিক কিছু নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। শুধু খেলায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। আগেও অনূর্ধ্ব-১৯ দল এসেছে, এদের থেকে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে (এইচপি) যেতে পারতো কেউ কেউ। বাকিরা কিন্তু অনেকেই হারিয়ে গেছে। আমরা ঠিক করেছি অনূর্ধ্ব-২১ একটা ইউনিট গঠন করব। এই অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে আরও দুই বছর বিশেষ অনুশীলনের ব্যবস্থা করব। ’
এ ছাড়া মাসিক এক লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পাপন বলেন, ‘এই দলটির স্কিল নিয়ে কাজ করা হবে। এই দুই বছর তাদের প্রত্যেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে বোর্ড থেকে পাবে। যেটা আগে কখনও হয়নি। এটা দুই বছরের চুক্তি, এরপর নতুন করে চুক্তি করা হবে। যদি আমরা দেখি ওরা উন্নতি করছে, ভালো করছে, অবশ্যই এটাকে রিনিউ করা হবে। কারো মধ্যে যদি দেখি উন্নতি হচ্ছে না, তাকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হবে। আরো অনেক পরিকল্পনা আছে ওদের নিয়ে।’
বিসিবির পরিকল্পনা নিয়ে আনন্দিত যুব অধিনায়ক আকবর। কথা দিলেন দুই বছরে বিসিবির চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তুলবেন। অধিনায়ক বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড থেকে যেটা পাব তার জন্য তাদেরকে আগে থেকেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি। বোর্ড থেকে এমন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাইনি। বিসিবি আমাদের নিয়ে যে পরিকল্পনা করছে তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাব। আগামী দুই বছরে নিজেদের স্কিল ও মানসিক উন্নতির কাজ করব।’
যুবাদের হাত ধরে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। যুবাদের বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসছে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। আনন্দের কমতি নেই স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও। তাইতো যুবাদের বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করেছে ক্রিকেট বোর্ড। যদিও এত আয়োজন আশা করেননি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী!
আজ বুধবার দেশে ফিরেছেন বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটাররা। প্রথমবার দেশকে এমন সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য যুব দলকে দারুণ সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বিসিবি।