‘এটা যেন মামার বাড়ির আবদার, বললেই হলো’

Looks like you've blocked notifications!
সাবেক তারকা ফুটবলার আমিনুল হক। ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন আগামী ৩ অক্টোবর। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে যে পরিকল্পনার কথা বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন, তা অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার আমিনুল হক। আর র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৫০তম স্থানে নিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি, তা মামার বাড়ির আবদারের মতো বলেও মন্তব্য তিনি।        

আজ সোমবার এনটিভি অনলাইনকে আমিনুল হক বলেন, ‘কাজী সালাউদ্দিন তিন মেয়াদে বাফুফে সভাপতির দায়িত্বে আছেন। আমরা আশা করেছিলাম, তাঁর অধীনে দেশের ফুটবলে একটা জাগরণ হবে। কিন্তু তিনি চরম ব্যর্থ হয়েছেন। বরং তাঁর আমলে দেশের ফুটবল সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। গত ১২ বছরে যা পারেননি, আগামী চার বছরে তা পারবেন বলে আমার মনে হয় না।’

বাংলাদেশকে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৫০তম স্থানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সালাউদ্দিন। এ সম্পর্কে আমিনুল বলেন, ‘এটা মামার বাড়ির আবদার নয়, আমি বললাম আর হয়ে গেল। গত ১২ বছরে ১৯৭তম পর্যন্ত গিয়েছে বাংলাদেশের র‍্যাঙ্কিং। এই ধারাবাহিকতা থাকলে ২০০ ছাড়িয়ে যাবে আমাদের র‍্যাঙ্কিং।’

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলানোর কথা বলেছিলেন সালাউদ্দিন। এমন অবাস্তব পরিকল্পনা সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘যেখানে তৃণমূল পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় না, সেখানে আমরা কী করে বলি বিশ্বকাপে খেলব। এগুলো বলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।’

এবার চতুর্থ মেয়াদে বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন সালাউদ্দিন। এ প্রসঙ্গে সাবেক এই গোলরক্ষক বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগে কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, এবারই আমার শেষ নির্বাচন। অথচ তিনি আবার নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। এটা জাতির সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। একজন ক্রীড়াবিদের কাছে এমনটা কেউ আশা করে না।’

আর ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে কাজী সালাউদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন- এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন আমিনুল, ‘উনি (সালাউদ্দিন) যে উন্নয়নের কথা বলেছেন, আদতে সেরকম কোনো উন্নয়ন দেশের ফুটবলে হয়নি। বরং আমি বলব অনেক অবনতি হয়েছে।’

গত নির্বাচনের ইশতেহার সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেছেন সালাউদ্দিন। বরং এর দায় চাপিয়েছেন তরফদার রুহুল আমিনের ওপর। এ সম্পর্কে সাবেক ফুটবলার বলেন, ‘গত নির্বাচনের সময় তিনি (সালাউদ্দিন) তরফদার রুহুল আমিনকে এক রকম ব্যবহার করেছেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন, অথচ এখন বলছেন কিছুই জানেন না। আমি বলব, এটা অকৃতজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, এটা মিথ্যাচারও।’

আর অর্থের অভাবে একটা জিমনেশিয়াম করা সম্ভব হয়নি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, এরও বিরোধিতা করেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার, ‘অর্থের অভাবে একটা জিম করা যায়নি, এটা এক ধরনের দায়সারা কথা। কারণ বিদেশি কোচদের পেছনে যে টাকা খরচ হয়, এর এক মাসের বেতন দিয়েই একটা জিম করা সম্ভব। আসলে কোনো পরিকল্পনাই ছিল না তাঁর।’

আমিনুল আরো বলেন, ‘দেশের ফুটবল এখন কোন পর্যায়ে, তার একটি বড় উদাহরণ আমরা সাফ চ্যাম্পয়নশিপের মতো একটি আঞ্চলিক আসরে সাফল্য পাই না। আগে আমরা সাফের ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে যেতাম। এখন আমরা সেমিফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারি না।’