ওয়ানডেকে বিদায় বলে দিলেন বেন স্টোকস
দেশের মাটিতে গত আসরেই ইংল্যান্ডকে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন বেন স্টোকস। চার বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ না আসতেই ইংলিশ ভক্তদের দুঃসংবাদ দিলেন তারকা অলরাউন্ডার। হঠাৎ করে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ইংলিশ তারকা ক্রিকেটার।
আগামীকাল মঙ্গলবার ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বেন স্টোকসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শেষ ওয়ানডে। আজ সোমবার এক টুইট বার্তায় বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
টুইটারে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে স্টোকস লিখেছেন, ‘আমি ডারহামে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলব। আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জন্য সিদ্ধান্তটা ভীষণ কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলাটা আমি প্রতি মিনিটই উপভোগ করেছি। আমাদের অবিশ্বাস্য এক ভ্রমণ ছিল।’
মূলত ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির ধকল থেকে বের হতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টোকস। তিনি লিখেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা কঠিন হলেও এটা মেনে নেওয়া কঠিন নয় যে আমি আমার সতীর্থদের এই ফরম্যাটে শতভাগ দিতে পারছি না। যারা ইংল্যান্ডের এই জার্সিটা পরেন, তাদের কাছ থেকে দল কখনই কম আশা করে না। তিনটি ফরম্যাট এই মুহূর্তে আমার জন্য এখন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। ব্যস্ত সূচির জন্য শুধু আমার শরীর যে দিচ্ছে না, তাই আর নয়। আমার মনে হচ্ছে, আমি আরেকজন খেলোয়াড়ের জায়গা ধরে আছি যে কিনা জস (অধিনায়ক) এবং তার দলকে আরও বেশি দিতে পারবে।’
ওয়ানডে ছেড়ে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে আরো মনোযোগ দেবেন স্টোকস, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেটে সব কিছু দিতে প্রস্তুত। এই মুহুর্তে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার মনে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও পরিপূর্ণ মনোযোগ দিতে পারব।’
ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেকের পর মোট ১০৪টি ওয়ানডে খেলেছেন স্টোকস। এই সময়ে ৩৯.৪৪ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ৯১৯। তার মধ্যে সেঞ্চুরি আছে তিনটি আর হাফসেঞ্চুরি আছে ২১টি।
পাশাপাশি বল হাতে ১০৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৭৪ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৬১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট।
গেল বিশ্বাকাপের ফাইনালে স্টোকসের পারফরম্যান্সের কথা মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। লর্ডসে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মূলত তাঁর কল্যানেই শিরোপার স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। স্টোকসের অপরাজিত ৮৪ রান ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যায়। এরপর রুদ্ধশ্বাস সুপার ওভারের পর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ইংল্যান্ড।