করোনার মধ্যেই খেলা চান সুজন
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের সব বড় টুর্নামেন্ট। বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সব টুর্নামেন্টও। তবে এর মধ্যেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) খেলা চান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
গতকাল ১৭ মার্চ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন, যার জন্য মিরপুর শেরেবাংলায় আবাহনীর ক্রিকেটাররা একত্র হয়ে কেক কেটে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন করেন। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, তাঁদের চাওয়া লিগের পরবর্তী খেলা চলুক।
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব খেলা স্থগিত করা হয়েছে। তাতে ডিপিএলের পরের রাউন্ড মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সুজন বলেন, ‘আমাদের খেলা বন্ধ আপাতত। তবে সত্যি কথা বলতে, আমরা খেলতে চাই। ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই খেলতে চায়। যদিও জানি যে করোনার ভয়াবহতা চলছে। তারপরও এই যে ছেলেরা এখানে একাডেমিতে যতটা নিরাপদ আছে, দেশের বাড়িতে গেলে হয়তো ততটা নিরাপদ নয়।’
আবাহনীর ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই থাকেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনে। তাঁদের কোচের মতে, ‘এই ছেলেদের বাড়ি যেতে দিলে বিপদ আরো বাড়তে পারে। ছেলেদের এখন যদি ছেড়ে দিই, এরা বাড়ি যাবে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করবে। অনেকেই থাকবে সেখানে, কখন কার কী হয়, বলা মুশকিল। সবাইকে চিনবেও না। আক্রান্ত কেউ যদি কাছাকাছি থাকে, ওদের জন্য খারাপই হবে। আমরা চাই এখানেই ওদের রাখতে। দেখা যাক, বোর্ড শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদি খেলা না হয়, ওদের প্রতি পরামর্শ থাকবে যেন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার না করে নিজ দায়িত্বে যায়। আর এত লোক বাইরে থেকে এসেছে, সবার সম্পর্কে জানাও কঠিন। এখানে একাডেমিতে নিরাপদ থাকবে।’
সুজন আরো বলেন, ‘আমরা মাঠের মানুষ। আমরা চাই খেলা হোক। খেলা মাঠে ফিরুক, ছেলেরা এটিই চায়। কারণ ক্রিকেট মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনে ঝড়-বৃষ্টি হবে। গরম আরো বাড়বে। আরো সমস্যা হবে খেলতে। আশা করি, দ্রুত সবকিছু ভালো হয়ে যাবে। করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশ মুক্ত থাকবে। এখন প্রিমিয়ার লিগ যদি বন্ধই থাকে, শুরু হতে না পারে, সামনে রোজার মাসও আসছে। ঠিকমতো শেষ করতে পারি কি না, সে প্রশ্ন থাকবে। তারপরও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রাখতেই হবে। আশা করব, আমরা যত তাড়াতাড়ি পারা যায়, মাঠে ফিরব। ছেলেরা খেলতে চায়।’