করোনা আতঙ্কের মধ্যেই গড়াল ডিপিএল

Looks like you've blocked notifications!

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে ভাইরাসটি। একের পর এক স্থগিত হয়ে যাচ্ছে সব টুর্নামেন্ট। স্থগিত হয়েছে মুজিববর্ষের দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও। তবে এই করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আজ রোববার মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এ আসর থেকে যার নতুন নাম ‘বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ’।

আজ সকাল থেকে তিনটি ভিন্ন মাঠে চলছে তিন ম্যাচ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ওল্ড দোহা স্পোর্টস ক্লাবের মুখোমুখি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এ ছাড়া ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লড়ছে প্রাইম দোলেশ্বর ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

করোনা আতঙ্কের মাঝে যখন বিশ্বের সব ক্রীড়া ইভেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখনই শুরু হলো ডিপিএল। তাই তো ম্যাচ শুরুর একদিন আগেও আলোচনায় ছিল করোনাভাইরাস নিয়ে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল শনিবার বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজই বন্ধ হয়ে গেছে। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টও আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যখন বন্ধ করছে, তখন এই ইস্যু তো সবার জন্য, শুধু আমাদের ব্যাপার নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা আবার অনেক জায়গায় চলছে। এটা কিন্তু বাইরেও চলছে, আপনারাও দেখেছেন। সব জায়গায় হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। মূল সমস্যা হলো, দর্শক এবং খেলোয়াড়দের। আমাদের এখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে তো দর্শক থাকেই না তেমন। এরপরও ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে যদি কখনো আমাদের মনে হয়, সরকার থেকে কোনো বাধা আসে কিংবা অন্য কোথাও থেকে, তাহলে আমরা সেভাবে সিদ্ধান্ত নেব।’

তবে আজ তিন ম্যাচের মধ্যে নজর আবাহনীর দিকেই। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার আবাহনীতে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। দলকে নেতৃত্বও দেবেন তিনি। এ ছাড়া দলটিতে আছেন লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, পেসার শহীদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান রানা ও আরাফাত সানি। সব মিলিয়ে জাতীয় দলের আদলে গড়া দলটি।

যদিও মিরপুরে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে যান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস।

আবাহনী লিমিটেড একাদশ : লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান রানা, আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলাম।

পারটেক্স স্পোর্টিং একাদশ : তাসামুল হক (অধিনায়ক), হাসানুজ্জামান, আব্বাস মুসা আলভি, জয়নুল ইসলাম, সায়েল আলম রিজভী, মইন খান, রনি হোসেন, মোসাদ্দেক ইফতেখার রাহী, ধীমান ঘোষ (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ চৌহান ও নাজমুল হোসেন মিলন।