ক্যারিবীয়দের দ্রুত অলআউট করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই। ছবি : বিসিবি

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন এনক্রুমা বোনার। দিন শেষে বাংলাদেশের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আজ শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে সাজঘরে ফেরাতে চাইবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ক্যারিবীয়দের দ্রুত অলআউট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ৯০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন বোনার। তাঁর সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত ডি সিলভা। 

এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের ২০ ওভার পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকে উইকেটে কিছুটা সহায়তা পেয়েছেন স্পিনাররা। নিয়মিতই টার্ন হয়েছে বেশ তবুও শুরুর দিকে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।

অবশেষে ২১তম ওভারে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল। ২০.৪তম ওভারে জন ক্যাম্পবেলকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। অবশ্য তাইজুলের করা আবেদনের পর রিভিউ নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে লাভ হয়নি। রিভিউতে স্পষ্ট আউট দেখানোয় ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ক্যাম্পবেলকে। ভেঙেছে ৬৬ রানের ওপেনিং জুটি। প্রথম সেশনে তাইজুল ছাড়া আর কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ।

তাইজুলের পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই উইকেট পেয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। শেন মোজলেকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ পেসার।

দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ফিরলেও উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েস্ট। দুই সতীর্থকে হারানোর পরও টিকে ছিলেন তিনি। ব্র্যাথওয়েটের ওই প্রতিরোধ ভাঙেন সৌম্য সরকার। নিজের প্রথম স্পেলে অতিথি দলটির ওপেনারকে আউট করেন। ১২২ বল খেলে চার বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করেন ব্র্যাথওয়েট।

সৌম্যর পর ক্যারিবীয়দের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ রাহি। ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কাইল মায়ার্সকে। রাহির করা অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে স্লিপে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মায়ার্স (৫)।

এরপর তৃতীয় সেশন পর্যন্ত লড়াই করেন বোনার ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের পঞ্চম জুটি। দুজন মিলে গড়েন ৬২ রানের জুটি। প্রতিরোধ গড়া এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। বাঁ-হাতি স্পিনারের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ব্ল্যাকউড। নিজের ক্যাচ নিজেই ধরে ব্ল্যাকউডকে সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। 

ব্ল্যাকউড ফিরলেও উইকেটে জমে যান বোনার। ৯৮ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে সিলভার সঙ্গে জুটি বাধেন তিনি। সিলভাকে নিয়েই দিনের শেষ অংশ পার করেন বোনার।