খেলোয়াড়দের পরিকল্পনা নিয়ে বিসিবি সভাপতির উদ্বেগ

Looks like you've blocked notifications!
ক্রিকেটরাদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তা নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, খেলোয়াড়রা নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না বলে টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পাচ্ছে না দল।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে নাজমুল হাসান বলেন, ‘বোর্ড সদস্য ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন জানতে চেয়েছিলাম। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল চট্টগ্রামে যাওয়ার আগে ছিলেন সেই সভায়। আমি তার (মুমিনুল) সঙ্গে কোচিং স্টাফের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন আমরা টেস্টে এমন পারফরর্ম করেছি। কোচিং স্টাফরা আমাকে পাঁচটি টেস্টের উদাহরণ দিয়েছিল। আমরা প্রথম টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে আত্মসমর্পণ করি। এটা পাকিস্তানের বিপক্ষেও হয়েছিল। নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় একই অবস্থা ছিল।’

কেন সাফল্য পাচ্ছে না তা নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘তারা (কোচিং স্টাফ) এখনও খুঁজে পায়নি কেন এমন সমস্যা হচ্ছে। তবে আমাদের অনেক খেলোয়াড় ১০ দিনে ক্রিকেট খেলার মানসিকতা নেই। আমাদের এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলার কারণেও এই সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করেন নাজমুল হাসান, ‘সমস্যা হচ্ছে যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলে, তারা ঘরোয়া দীর্ঘ-সংস্করণের ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে না। তাদের দীর্ঘ সময় খেলার অভ্যাস নেই। আমরা চাইলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের খেলার সুযোগ দিতে পারি না।’

তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম জাতীয় দলে থাকলেও তাঁদের বয়স হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ছয় মাসের জন্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম। যদিও সেই ছয় মাস এপ্রিলে শেষ হয়েছে, তবে তিনি এখনও তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। মাহমুদউল্লাহ সীমিত ওভারের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আপনি সারা বিশ্বে দেখবেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে। আপনি যদি সব ফোকাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রাখেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য খেলতে পারবেন। কারণ খেলার সময়কাল কম। অবশ্যই এটি অন্যান্য ফরম্যাটগুলোকে বাধাগ্রস্ত করে। অনেক খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টিতে ফোকাস করছে।’

‘মাহমুদউল্লাহ ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেট ছেড়েছেন, তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছেন না এবং মুশফিক আছেন। সাকিবের ব্যাপারটা অন্য সিনিয়রদের থেকে আলাদা। তাকে নিয়ে কথা বলা কঠিন। সবাই তাকে প্রতিটি ফরম্যাটে চায় কিন্তু তাকে পাওয়া কঠিন। আসলে আমরা নিশ্চিত নই, সে খেলবে, নাকি খেলবে না। কারণ আমি যখন তার সঙ্গে কথা বলি তখন সে প্রতিটি ফরম্যাটে খেলতে চায়। কিন্তু হঠাৎ করেই যখন খেলা হয় তখন তার সমস্যা হয়। এগুলো আসলেই সমস্যা। তাই তার সম্পর্কে কিছু বলা কঠিন।’