চাপে ছিলাম, এটা মিথ্যা নয় : তামিম
দীর্ঘদিন ধরে তামিম ইকবালের ব্যাটে বড় রানের ইনিংস ছিল না। গত এক বছরে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে মাত্র একটিতে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন এই তারকা। মাঝে ক্রিকেট থেকেই বিরতি নিয়েছিলেন। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পুরোনো রূপে ফিরলেন দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার। গত মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তুলেন নিলেন ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
সাফল্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত তামিম। তবে দীর্ঘদিন ধরে রানে না থাকায় যে চাপে ছিলেন সেটা ফুটে উঠল বাঁহাতি ওপেনারের মুখে। গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘চাপে ছিলাম। এটা না বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, আমি ব্যাটিং খুব ভালো করছিলাম। হয়তো বড় রান করতে পারছিলাম না। টেস্টে যেমন ৪১ করেছিলাম। পাকিস্তানে ৩৫/৩৬ রানের একটা ইনিংস খেললাম। আমার কাছে মনে হয়, আমি ব্যাটিং আসলেই খুব ভালো করছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এটা কেবল সময়ের ব্যাপার। বড় হয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক দিন ধরেই ইনিংস বড় হচ্ছিল না।’
সেঞ্চুরি করা ম্যাচে তামিমকে বেশ আক্রমণাত্মক দেখা যায়। কিন্তু তিনি জানালেন, আগের মতোই ছিল তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন, ‘সত্যি কথা বলতে গতকাল (মঙ্গলবার) আমি কিছুই ভিন্ন করিনি। একটা জিনিস হয়ে গেছে, সেটি হলো আমি দুই–তিনটি বাউন্ডারি বেশি মেরেছি। যদি দেখেন একটা ওভারে দুটি বল আমার পায়ে ছিল, সেগুলো আমি ফ্লিক করে চার মেরেছি। একশ হওয়ার আগে কিন্তু আমি এগিয়ে গিয়ে কোনো বড় শট খেলিনি। সব শটই ছিল ক্রিকেটীয়। হয়তো অনেক শট গ্যাপে চলে গেছে, বাউন্ডারি হয়ে গেছে। আমি সব সময় যে মাইন্ডসেটে ব্যাটিং করি, মঙ্গলবারও সেভাবেই ব্যাটিং করেছি।’
এরআগে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে শেষ ২০১৮ সালের জুলাইতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে খেলেছিলেন ১০৩ রানের ইনিংস। দীর্ঘ ১৯ মাস পর তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।
ঘরের মাঠে তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরো অনেক আগে। দেশের মাটিতে শেষ ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তামিম। অবশেষে সেঞ্চুরির খরা কাটালেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত মঙ্গলবার ইনিংসের ৩৭তম ওভারে শেন উইলিয়ামসের বলে দুই রান নিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তামিম। ১০৬ বলে তাঁর সেঞ্চুরিতে ছিল ১৪টি বাউন্ডারি। বাঁহাতি এই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। ৪২ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ১০টি বাউন্ডারিতে সাজানো হাফসেঞ্চুরি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের ৪৮তম হাফ সেঞ্চুরি।