চ্যাম্পিয়নস লিগে দেখা যাবে মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ
লা লিগায় এখন আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বনাম লিওনেল মেসির দ্বৈরথ দেখতে পায় না ফুটবল ভক্তরা। পর্তুগিজ তারকা রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ায় রং হারিয়েছে স্প্যানিশ লিগটি। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০২০-২১ মৌসুমে আবারো মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ দেখবে ফুটবল বিশ্বে। কারণ নতুন মৌসুমে একই গ্রুপে খেলবেন এই সময়ের দুই সেরা ফুটবলার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন আসরে ‘জি’ গ্রুপে পড়েছে বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। একই গ্রুপে অন্য দুই প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের দিনামো কিয়েভ ও হাঙ্গেরির ফেরেন্সভারোস।
গ্রুপ ‘এ’ তে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে আছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, অস্ট্রিয়ার সালসবুর্ক ও রাশিয়ার লোকোমোতিভ মস্কো।
‘বি’ গ্রুপে রিয়াল ও ইন্টার মিলানের সঙ্গে আছে ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্ক এবং জার্মানির বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ।
‘সি’ গ্রুপে আছে ম্যানচেস্টার সিটি, পোর্তো, গ্রিসের অলিম্পিয়াকোস ও ফ্রান্সের মার্শেই। ডি গ্রুপে আছে লিভারপুল, আয়াক্স, আতালান্তা ও ডেনমার্কের ক্লাব মিতউইলান।
‘ই’ গ্রুপে আছে বর্তমান ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া, চেলসি, রাশিয়ার ক্রাসনোদার ও ফ্রান্সের রেন।
‘এফ’ গ্রুপে আছে রাশিয়ার জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ, জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, ইতালির লাৎসিও ও বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজ।
এইচ গ্রুপে আছে গতবারের রানার্সআপ পিএসজি, তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, গত আসরে সেমিফাইনালে খেলা লাইপজিগ ও তুরস্কের ইস্তানবুল বাসাকসেহির।
প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠবে নকআউট পর্বে। এরপরই জমবে জমজমাট লড়াই। গ্রুপ পর্বের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ২০ ও ২১ অক্টোবর।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আট গ্রুপ:
গ্রুপ ‘এ’: বায়ার্ন মিউনিখ, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, সালসবুর্ক, লোকোমোতিভ মস্কো।
গ্রুপ ‘বি’: রিয়াল মাদ্রিদ, শাখতার দোনেৎস্ক, ইন্টার মিলান, বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ।
গ্রুপ ‘সি’: পোর্তো, ম্যানচেস্টার সিটি, অলিম্পিয়াকোস, মার্শেই।
গ্রুপ ‘ডি’: লিভারপুল, আয়াক্স, আতালান্তা, মিতউইলা।
গ্রুপ ‘ই’: সেভিয়া, চেলসি, ক্রাসনোদার, রেন।
গ্রুপ ‘এফ’: জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লাৎসিও, ক্লাব ব্রুজ।
গ্রুপ ‘জি’: জুভেন্টাস, বার্সেলোনা, দিনামো কিয়েভ, ফেরেন্সভারোস।
গ্রুপ ‘এইচ’: পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লাইপজিগ, ইস্তানবুল বাসাকসেহির।