ছেলেকে অনুকরণ করে মুশফিকের অন্যরকম উদযাপন
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে জিম্বাবুয়ের বোলার অ্যানস্লের এনডিলোভুকে কাট করে বল বাউন্ডারিতে হাঁকান মুশফিকুর রহিম। বল বাউন্ডারিতে স্পর্শ করতেই ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপনে মেতে ওঠেন মুশফিক। তাঁর উদযাপনটা ছিল একটু অন্যরকম, দুই হাত উঁচু করে হুঙ্কার দেন, এরপর মাঠের মধ্যেই দেন সেজদা।
ম্যাচ শেষে জানালেন এমন উদযাপনের কারণ। মূলত মুশফিকের ছেলে শাহরোজ রহিম মায়ান বাসায় আনন্দ পেলে ডাইনোসরের মতো এভাবেই উল্লাস করে। আজ সোমবার দ্বিশতক হাঁকিয়ে সেটাই নকল করেছেন মুশফিক।
আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। লাঞ্চ থেকে ফিরে অ্যানস্লের বলে বাউন্ডারি মেরে তিন অংকের ঘরে যান উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান। শতকের ঘরে যেতে মুশফিক খেলেন ১৬০ বল। ২১৩ মিনিটের ইনিংসে ছিল ১৮টি বাউন্ডারি। এরপর নাইছুর বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রবেশ করেন দেড়শর ঘরে। দেড়শ করতে মুশফিকের লেগেছে ২৫৪ বল। এরপর ৩১৫ বলে মুশফিক পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে। তাঁর টেস্ট ক্যারয়ারে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি এটি। দীর্ঘ ১০ ইনিংস পর ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল, যদি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারি ছেলের জন্য উৎসর্গ করব। সেটাই করেছি। ও (মায়ান) বাসায় ডাইনোসরের মতো অমন করে, আমি সেঞ্চুরি করার পর ঠিক তেমনটা অনুকরণ করার চেষ্টা করেছি, অন্য কোনো কারণ ছিল না।’
তবে এই ডাবল সেঞ্চুরি করে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু দেখছেন না মুশফিক। কোনো প্রতিবাদের জন্য অমন উদযাপন করেননি তিনি , ‘আমার এতদিনের ক্যারিয়ারে আমি কখনো প্রতিশোধ বা প্রতিবাদ জানানোর জন্য কিছু করিনি । কারণ আমি সবসময় মনে করি, যে আমি ফাইট করে খেলছি যতদিনই খেলি আর যে কয় ম্যাচই খেলি। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই মনোভাব আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়।’
২০১৮ সালের নভেম্বরে শেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন ২১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। দেড় বছর পর সেই একই মঞ্চ ও একই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আবার ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন মুশফিক। আজ মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।