জার্সি খুললেও যে কারণে কুদুসকে হলুদ কার্ড দেখালেন না রেফারি

Looks like you've blocked notifications!
জার্সি খুলে ক্রিস্টিয়ান আতসুকে গোল উৎসর্গ করলেন কুদুস। ছবি: আয়াক্স এর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

ফুটবলে খেলা চলাকালীন সময়ে কোনো খেলোয়াড় জার্সি খুললে সাধারণত হলুদ কার্ড দেখানো হয়। তবে আয়াক্স মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কুদুসের ক্ষেত্রে সেই নিয়মের কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেছে। জার্সি খুলে গোল উদযাপন করলেও এই ফুটবলারকে কোনো হলুদ কার্ড দেখাননি রেফারি। কিন্তু কেন? জানলে অবাক হবেন।

আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুসারে, আমস্টারডাম অ্যারেনায় গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ডাচ লিগে স্পার্তা রোটারডামের বিপক্ষে বাঁ-পায়ের ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত এক গোল করেন আয়াক্স মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কুদুস। এরপরই তাকে দেখা যায় জার্সি খুলে উদযাপন করতে।

মূলত তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহত ঘানার ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান আতসুকে গোল উৎসর্গ করার জন্য জার্সি খুলে গোল উদযাপন করেন তার স্বদেশি কুদুস। জার্সির নিচে পরিহিত টি-শার্টে লেখা ছিল শান্তিতে বিশ্রাম নাও আতসু। খেলাচলাকালীন সময়ে এমন কাজ করলে হলুদ কার্ড দেখানোর নিয়ম আছে। তবে রেফারি ফন বোয়েকেল এদিন কোনো কার্ড তাকে দেখাননি। ম্যাচ শেষে রেফারির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কুদুস।

তিনি বলেন, ‘এটা ফুটবলের নিয়মের ঊর্ধ্বে বিষয়টা জীবন এবং মৃত্যুর, রেফারি বলেছিলেন জার্সি খোলার অনুমোদন নেই। তবে তিনি পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছিলেন আর এজন্য তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং তাকে খুব সম্মান জানাচ্ছি।’

কুদুস আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি তুরস্কে কী ঘটেছে। আমি শ্রদ্ধা জানাতে এমন উপায় বেছে নিয়েছি। কারণ আতসু আমার প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। তাকে দেখে আমি অনেককিছু শিখেছি। তিনি আমাকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছেন। তার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি আজ যা কিছু করেছি, সব তাকে উৎসর্গ করে।’

গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৩ দিন উদ্ধার করা হলো তার মরদেহ। উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার এজেন্ট মুরাত উজুনমেহমেত। গত (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ঘানার রাজধানী আক্রার কোতোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে আতসুকে বহন করা বিমানটি। এ সময় আতসুকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। পরে তার মরদেহ গ্রহণ করেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওমিয়া।