জৈব-সুরক্ষা বলয় নিয়ে আরও সতর্ক থাকবে বিসিবি
প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগেই বড় দুঃসংবাদ পায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। অতিথি দলের দুই ক্রিকেটার ও কোচ করোনায় আক্রান্ত। তিনজনের কোভিড পজিটিভ আসায় শঙ্কা জেগেছিল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে নিয়ে। তবে শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
কিন্তু কীভাবে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে করোনা হানা দিল, তা নিয়ে সংশয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই জৈব-সুরক্ষা বলয় নিয়ে আরও সতর্ক হবে বিসিবি। আজ রোববার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
শ্রীলঙ্কা দল বাংলাদেশে আসার পর থেকে সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডের জন্য প্রস্তুত হয় দুদল। কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে হুট করে আসে দুঃসংবাদ। শ্রীলঙ্কার দুই ক্রিকেটার ও এক কোচ করোনা পজিটিভ হন। আক্রান্ত দুই ক্রিকেটার হলেন ইসুরু উদানা ও শিরান ফারনান্দো। দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে পজিটিভ হয়েছেন কোচ চামিন্দা ভাস। ম্যাচের আগের দিন করা করোনা টেস্টে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
তিনজনের করোনা ধরা পড়ায় ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। অপেক্ষায় থাকতে হয় আরেকটি পিসিআর টেস্টের। সেই পিসিআর টেস্টের ফল এলে কেটে যায় ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা। পরের টেস্টে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজনই নেগেটিভ হন। তবুও তাদের তিনজনকে আইসোলেশনে রেখে মাঠে গড়ায় দুদলের প্রথম ওয়ানডে।
এ ব্যাপারে বিসিবি নাজমুল হাসান পাপন সভাপতি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার তিন জনের পজিটিভ আসে, কিন্তু আগের টেস্টগুলোতে নেগেটিভ ছিল। আমাদের জানা মতে, বায়ো-বাবলে গিয়ে নেগেটিভ কারো পজিটিভ হওয়াটা অস্বাভাবিক। এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও হতে তো পারে। তিনজন পজিটিভ হওয়ার পর তাঁদের আইসোলেট করা হয়। তারপর যখন টেস্ট করতে দিলাম, কারণ তাদের কোনো সিম্পটম নেই। পরের টেস্ট যখন করল, তখন দুজনের নেগেটিভ, একজনের পজিটিভ। এখন কেন পজিটিভ এলো, সেটি দেখতে গিয়ে আমাদের ধারণা, যেহেতু সে (শিরান) কিছু দিন আগেই কোভিড থেকে ভালো হয়েছে, সেহেতু অনেক সময় ডেড আরএনএ ডিটেক্ট করে পিসিআর, তার ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে। আবার অনেকের কিন্তু ২৮ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায়। যেহেতু ওর ২৮ দিন হয়নি, তাই পেতে পারে। এজন্য আমরা আবার টেস্ট করতে পাঠিয়েছি।‘’
এরপর আরও সতর্কতা বাড়ানোর কথা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এরকম হতে পারে, কিন্তু তার জন্য প্রোটোকল করা আছে, একবার পজিটিভ হলে কী করতে হবে, কতবার টেস্ট করে শিওর হতে হবে, আমরা তা অনুসরণ করছি। এটা নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেটা খুব চিন্তার বিষয়। তবে অবশ্যই আমরা বায়ো-বাবল নিয়ে সতর্কতা আরও বাড়াব।’