টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিংয়ের সেরা যারা

Looks like you've blocked notifications!
ইংল্যান্ড তারকা স্যাম কারান। ছবি : সংগৃহীত

শেষ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। ব্যাটে বলে দলবদ্ধ পারফরম্যান্সের দ্যুতি ছড়িয়ে দ্বিতীয় শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে তারা। ক্রিকেট দলগত খেলা হলেও ব্যক্তিগত ফর্মের প্রয়োজনীয়তাও অনেক। চলতি আসরেই যেমন বল হাতে বিপক্ষের জন্য ত্রাস সৃষ্টি করেছেন কয়েকজন তারকা।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙা (শ্রীলঙ্কা)

সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙা। ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান এই তারকা। আছে ৮ রানে ৩ উইকেটের চমৎকার ম্যাচ ফিগার। আসরে তার গড় ও ইকোনমি দুটোই বাঁধিয়ে রাখার মতো। গড় ১৩.২৬, ওভারপ্রতি খরচ ৬.৪১। বিশেষত ম্যাচের মাঝ ওভারে তার প্রভাব দলের জন্য রেখেছে বিশেষ ভূমিকা।

স্যাম কারান (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক স্যাম কারান। ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এই পেসার ৬ ম্যাচে ঝুলিতে পুরেছেন ১৩ উইকেট। সুপার টুয়েলভে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তবে সাফল্যের বিচারে তা ছাড়িয়ে গেছে ফাইনালে কারানের আগুনঝরা বোলিং। ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ফাইনালের সেরা। ১৩ শিকার করতে ১১. ৩৮ গড়, ওভারপ্রতি ৬.৫২ রান খরচ করা স্যাম কারান হয়েছেন টুর্নামেন্টেরও সেরা।

ব্যাস ডি লিড (নেদারল্যান্ডস)

স্যাম কারানের সমান ১৩ উইকেট পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের বোলার ব্যাস ডি লিড। ৮ ম্যাচে ১৩ গড় ও ৭.৬৮ ইকোনমিতে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন এই ডাচ তারকা। গ্রুপপর্ব থেকে ডাচদের সুপার টুয়েলভে ওঠার পেছনে বড় অবদান রেখেছেন তিনি। আসরে তার সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রানে ৩ শিকার। 

ব্লেসিং মুজারাবানি (জিম্বাবুয়ে)

চলতি বিশ্বকাপে দারুণ চমক দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বদলে যাওয়া এক দলকে দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। গ্রুপ পর্বে যেমন অসাধারণ খেলে সুপার টুয়েলভে জায়গা করেছে, সেখানে রাখে লড়াইয়ের ছাপ। জিম্বাবুয়ের এই উত্থানে অন্যতম সারথী পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। ৮ ম্যাচে তুলেছেন ১২ উইকেট, সেরা বোলিং ২৩ রানে ৩ শিকার। তবে গড় ও ইকোনমি তুলনামূলক বেশি প্রথম তিনজনের তুলনায়। প্রতি উইকেটের বিনিময়ে দিয়েছেন ১৬.৫৮ রান, ইকোনমি ৭.৬৫।

এনরিখ নরকিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার এনরিখ নরকিয়া আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। ৫ ম্যাচে তার প্রাপ্তি ১১ উইকেট। সুপার টুয়েলভ থেকে দল বাদ গেলেও বল হাতে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। রান খরচায়ও ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ। গড় মাত্র ৮.৫৪, ওভারপ্রতি দিয়েছেন মোটে ৫.৩৭। সেরা বোলিং ফিগার ১০ রানে ৪ উইকেট।