তামিম-আফ্রিদিদের ব্যর্থতায় ঢাকার পুঁজি ১৩৪

Looks like you've blocked notifications!

ব্যাট হাতে ঢাকা প্লাটুনের শুরুটাই নড়বড়ে করেন তামিম ইকবাল। পাঁচ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে করেন ৪ বলে ৫ রান। এরপর ঢাকার আস্থা হয়ে উঠতে পারেননি লরি ইভান্স, থিসারা পেরেরা, শহিদ আফ্রিদির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও। ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার দিনে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ১৩৪ রানে থামল ঢাকা প্লাটুন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে ওপেনার তামিমকে হারায় ঢাকা প্লাটুন। তিনে ব্যাট করতে নামা লরি ইভান্সও তেমন কিছু করতে পারেননি। ১৩ রানে ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। মাঝে জাকের আলীকে নিয়ে কিছুক্ষণ দলকে টেনে নিয়ে যান এনামুল হক বিজয়। অবশ্য সেই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জাকের আলীর রানআউটে সেই জুটি ভাঙে ৩৯ রানে। ফেরার আগে ২১ রান করেন জাকের।

এরপর একে একে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো হারায় ঢাকা প্লাটুন। ৩৯ রানে ২ উইকেট হারানো ঢাকা পরের ৩০ রান তুলতে হারায় ৫ উইকেট। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি এনামুলও। ৩৩ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান তিনি।

ঢাকা প্লাটুনের বড় মুখ শহিদ আফ্রিদিও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। অভিজ্ঞ এই পাকিস্তান তারকা ফিরেছেন গোল্ডেন ডাকে। ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার মাঝে বেশিদূর এগোতে পারেনি ঢাকা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ইনিংস শেষে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি।

রাজশাহী রয়্যালসের পক্ষে বল হাতে সমান একটি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, বোপারা ও অলোক কাপালি। আবু জায়েদ রাহী নেন ২ উইকেট।

ম্যাচটি দিয়ে দীর্ঘদিন পরে ক্রিকেটে ফিরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তামিম ইকবালকেও বিশ্বকাপ-পরবর্তী শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর আর দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তিনিও ঢাকা প্লাটুনের হয়ে মাঠে নেমেছেন।

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাধারণত বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের একই দলে খেলতে দেখা যায় না। কেননা, তারকা খেলোয়াড়দের আইকন হিসেবে বেছে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বিশেষ আসরে একসঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন মাশরাফি-তামিম। এ দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পেয়ে উজ্জীবিত ঢাকা প্লাটুনও।