তিন উইকেট হারানোর দ্বিতীয় সেশন

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

তামিম ইকবালের সঙ্গে দিনের প্রথম সেশন দারুণভাবে পার করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর হঠাৎ ছন্দ হারালেন তিনি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ফার্নান্দোর ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হলো তরুণ এই ওপেনারকে। ১৪২ বলে ৫৮ রান করে আউট হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর উইকেটে এসে টিকলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ২ রানেই তাঁকে বিদায় করেছে লঙ্কানরা। আউট হয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও।

প্রথম সেশন দারুণ কাটানোর পর দ্বিতীয় সেশনে হঠাৎ ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের।  এই এক সেশনে তিন উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল। 

টেস্টের দ্বিতীয় দিনই ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান ও তামিম ইকবাল। সেই প্রতিফলন দেখা যায় আজ মঙ্গলবার টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেও। দিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুজন। তামিম-জয়ের ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামে আজ দিনের প্রথম সেশন চমৎকার কাটে বাংলাদেশের।

সাগরিকায় বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে আজ দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে অবিচ্ছেদ্য থেকে জুটি অক্ষত রেখেছেন তামিম ও জয়। দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সেশনে এসে এই জুটি ভেঙেছে লঙ্কানরা।

আজ ৩৯ রানে দিন শুরু করে দিনের পঞ্চম ওভারেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম। অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পঞ্চাশের দেখা পেয়ে যান বাঁহাতি ওপেনার। ক্যারিয়ারের ৩২তম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি করতে তামিম খেললেন ৭৩ বল।

তামিমের সঙ্গে থাকা জয়ও পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। আসিথা ফার্নান্দোর বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে দুই রান নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন জয়। হাফসেঞ্চুরি পেতে জয় খেলেন ১১০ বল। পাঁচ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৩৯৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা ম্যাথুজ খেলেছেন ১৯৯ রানের ইনিংস। ৩৯৭ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৯টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা দিয়ে।

৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে গতকাল দ্বিতীয় দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। গতকাল দিন শেষে উইকেটে থাকা দুই ব্যাটার ম্যাথুজ ও দিনেশ চান্দিমাল এই জুটি মিলে বাংলাদেশকে ভোগান লম্বা সময়। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশনের শেষ দিকে এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।

চান্দিমালকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে শক্ত জুটি ভাঙেন নাঈম। ৬৬ রানে চান্দিমালকে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। একই ওভারেই উইকেটে আসা নিরোসান ডিকভেলাকেও নিজের শিকার বানান নাঈম। প্রথম সেশনে এই দুটি উইকেটই নিতে পারে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। এক ওভারে তুলে নেন দুই উইকেট।

কিন্তু জোড়া উইকেট নিয়ে চাপ তৈরি করতে পারলেও উইকেটে জমে যাওয়া ম্যাথুজের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। টেলএন্ডারদের নিয়েও লম্বা সময় লড়াই করেন তিনি। টেলএন্ডার দিয়ে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৯৭ রানের পুঁজি এনে দেন ম্যাথুজ। তবে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ নিয়ে উইকেট ছাড়েন তিনি। আর এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হলো না তাঁর। ঠিক ১৯৯ রানের ঘরে তাঁর প্রতিরোধ ভাঙেন নাঈম হাসান।