দলের হারের দিনে মুশফিকের অনন্য কীর্তি
তারকা ওপেনার তামিম ইকবালের পর বিপিএলে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। আজ শুক্রবার সিলেট পর্বের তৃতীয় ম্যাচে ঢাকার প্লাটুনের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে দারুণ এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
বিপিএলে মুশফিক এর আগে ৭৮ ম্যাচে ৭৪ ইনিংসে ১৯৯৯ রান করেছিলেন। আজ দারুণ হাফসেঞ্চুরি করে ১৪টি হাফসেঞ্চুরিতে ২০৬৩ রান করেন তিনি।
আর তামিম ইকবাল ৬৬ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফসেঞ্চুরিতে ২১৪৩ রান করেন।
মুশফিকের সাফল্যের দিনে তাঁর দল খুলনা টাইগার্স ১২ রানে হেরেছে ঢাকা প্লাটুনের কাছে। এদিন বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা প্লাটুন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৬০ রানে থেমে গেছে খুলনা টাইগার্স। ৩২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ঢাকার বোলার হাসান মাহমুদ।
এই জয়ের মাধ্যমে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে উঠে গেছে ঢাকা প্লাটুন। অন্যদিকে ১০ পয়েন্ট নিচে চারে আছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা।
এদিন সিলেটে বৃষ্টি হয় দুপুর পর্যন্ত। ৪০ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে আগ ব্যাট করতে নামা ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। প্রথম ৫ ওভারে দুজন মিলে তোলেন ৪২ রান। ষষ্ঠ ওভারে তামিমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ আমির। ২৩ বলে ২৫ রান করে ফেরেন তামিম। পরের ওভারে আরেক ওপেনার বিজয়কে ফেরান শফিউল ইসলাম। ১৩ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর হাল ধরেন মুমিনুল হক। মাঝে ব্যাট করতে নেমেই আউট হন ছন্দে থাকা মেহেদী হাসান। পরে আরিফুলের সঙ্গে দলকে টেনে নেন মুমিনুল। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ৫৬ রানের জুটি গড়তে দুজন খেলে ফেলেন ৪৭ বল! ৩৬ বলে ৩৮ করে বিদায় নেন মুমিনুল।
মুমিনুলের বিদায়ের পর শেষে ঢাকাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন আসিফ আলী। ১৩ বল খেলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন তিনি, যাতে ছিল দুটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হারায় ওপেনার আমিনুল ইসলামকে। ৪ রান করা আমিনুলকে শিকার বানান মাশরাফি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার মেহেদী মিরাজকে সাজঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ। সপ্তম ওভারে বিদায় নেন শামছুর রহমান। ১৮ রানে ফেরেন রাইলি রুশোও।
টপঅর্ডারদের হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় খুলনা টাইগার্স। জাদরানকে নিয়ে হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে বেশ এগিয়ে যায় দলটি। ৩১ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান জাদরান। এরপর চেষ্টা করেও দলকে তীরে পৌঁছে দিতে পারেননি মুশফিক। ৬৪ রানে তিনি আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ১৬০ রানে থেমে যায় খুলনা টাইগার্স।