‘ধোনির সঙ্গে আমার তুলনা বাড়াবাড়ি’
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আকবর আলী। ফাইনালের মতো ম্যাচেও একেবারেই ভয়ডরহীন ছিলেন অধিনায়ক। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখেছেন। তা ছাড়া ফাইনাল ম্যাচে তাঁর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই দল বিশ্বকাপ জিতেছে।
আকবরের এই নেতৃত্বগুণকে অনেকে ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো দেখছেন। কিন্তু এতে বেশ আপত্তি বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়কের। নিজের সঙ্গে ধোনির তুলনা করাটা মানতে পারছেন না আকবর।
ভারত ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার সময় ক্রিজে ছিলেন ধোনি। তাঁর শেষ ছক্কায় বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছে ভারত। এবার যুব বিশ্বকাপেও আকবরের অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
কিন্তু স্রেফ এক ইনিংস দিয়ে নিজেকে ধোনির সঙ্গে মেলাতে চান না আকবর। তিনি বলেন, ‘ধোনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। আমার এক ইনিংস দেখে উনার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন না।’
যুবাদের হাত ধরে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। যুবাদের বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসছে দেশের ক্রিকেটভক্তরা। আনন্দের কমতি নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও। তাই তো যুবাদের বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করেছে ক্রিকেট বোর্ড। এত আয়োজন আশা করেননি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররা। প্রথমবার দেশকে এমন সাফল্য এনে দেওয়ায় যুব দলকে দারুণ সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বিসিবি।
‘হোম অব ক্রিকেট’ শেরেবাংলায় ছিল সাজসাজ রব। মাঠের ভেতরে-বাইরে রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশ। বাড়তি আলোকসজ্জায় সাজানো পুরো স্টেডিয়াম। আকবর-সাকিবদের উল্লাসের ব্যানারে ছেয়ে যায় স্টেডিয়ামের পরিবেশ। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের স্বাগত জানাতে আয়োজনের কিছু কমতি রাখেনি বিসিবি। বোর্ডের এত বড় আয়োজন এবং দেশের মানুষের এত উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন অধিনায়ক আকবর।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন, ‘ধারণা করেছিলাম বাংলাদেশে এলে বড় কিছু হবে। তবে এত বড় কিছু হবে, ভাবতেও পারিনি।’
বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে চ্যাম্পিয়নদের বহনকারী বিমানটি। ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন বিসিবি কর্তারা। মিষ্টি মুখ করানো হয় খেলোয়াড়, কোচসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। প্রত্যেককে পরিয়ে দেওয়া হয় ফুলের মালা।
এ ছাড়া বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য বিশেষ বাসের আয়োজন করে বিসিবি। বাসে লেখা হয় ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’। এই গাড়িতে করেই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেরেবাংলায় পৌঁছান আকবররা। মিরপুরে তো আরো বিশাল আয়োজন। ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসের সামনে ছিল শ’খানেক মোটরসাইকেল। রাস্তাজুড়ে মিছিল দিয়ে মিরপুরে আনা হয়। এরপর মাঠভরা দর্শকদের সামনে কেক কেটে ক্রিকেটারদের বরণ করে নেন বিসিবি সভাপতি।
এত আয়োজন নিয়ে আকবর বলেন, ‘এত সাড়া পাব আশা করিনি। এখনো বুঝতে পারছি না, আসলে আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা। আগামী কয়েক দিন হয়তো এই উত্তেজনা থাকবে। এর পর থেকে হয়তো বলতে পারব, আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা। তবে সবার কাছ থেকে এতটা সাড়া পাব, চিন্তাও করতে পারিনি। সবাইকে ধন্যবাদ।’