নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো হলেই পাকিস্তান যাবেন মুশফিক
পরিবারের আপত্তির কারণে পাকিস্তান সফরে যেতে চান না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো হলে ভবিষ্যতে পাকিস্তান সফরে যাবেন বলে আশা করছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
এ ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছি, আসন্ন পাকিস্তান সফরে আমি থাকছি না এবং বিসিবি তাতে সম্মতি দিয়েছে।’
শুধু টি-টোয়েন্টি নয় অডিআই ও টেস্টসহ পুরো সিরিজেই তিনি থাকছেন না।
মুশফিকুর আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলার জন্য পাকিস্তান যেতে পারি না। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে না খেলতে পারাটা আমার জন্য খুবই কষ্টের একটি ব্যাপার।’
এদিকে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলার জন্য প্রস্তাব পেয়েছেন মুশফিক। সেখানেও তিনি খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে মুশফিককে বাইরে রেখে আজ শনিবার বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছে। দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কা সফরের পর সাময়িক বিরতি দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিরেছেন তামিম। তা ছাড়া এক বছরের বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন তিনি। শেষ ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পাকিস্তান সফরে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকেও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ভাবা হয়েছিল একেবারে তারুণ্যনির্ভর দল পাকিস্তানে পাঠাবে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। নতুন মুখ হাসান মাহমুদকে নিয়েই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দল।
সবশেষ ভারতে বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন আবু হায়দার রনি, তাইজুল ইসলাম, আরাফাত সানি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
পাকিস্তান সফরে তিন ভাগে পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি খেলবে বাংলাদেশ। সফরে মোট তিনটি টি-টোয়েন্টি, দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলবে লাল-সবুজের দল। ওয়ানডে ম্যাচটি নতুন সংযোজন। ২৪ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। একই ভেন্যুতে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। সব ম্যাচের ভেন্যু লাহোরে।
টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। এরপর আবার গিয়ে আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজটিও দুই ভাগে হবে।
প্রথমভাগে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরবে টাইগাররা। শেষ ভাগে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে ও শেষ টেস্ট খেলবে সফরকারীরা।