নির্বাচনের আগে নিয়ম ভাঙলেন সালাম মুর্শেদী

Looks like you've blocked notifications!
বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে সিনিয়র সভাপতি পদে লড়বেন সালাম মুর্শেদী।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ অক্টোবর। এরই মধ্যে জাঁকজমকপূর্ণভাবে নিজের প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তিনবারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে ইশতেহার ঘোষণার পর নির্বাচনের নিয়ম ভেঙে বসেছেন সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়তে যাওয়া আবদুস সালাম মুর্শেদী।   

বাফুফে নির্বাচনী বাইলজের ৭(৩) ধারায় উল্লেখ করা আছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বাফুফে ভবন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বা তার আশপাশের এলাকায় কোনো প্রার্থী কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না।

কিন্তু গত সোমবার তেমনই কাজ করে বসেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দাঁড়ানো সালাম মুর্শেদী। ফুটবল ফেডারেশনের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমাকে নিয়ে বলেছেন, আমি নাকি অনেক অর্থশালী ব্যক্তি। আমি নাকি যেকোনো সময় ফল ঘুরিয়ে দিতে পারি। আমাদের ক্লাব ও সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকর্তার জন্য অপমানজনক কথা এটা। সবার উদ্দেশে বলছি, আপনাদের যা প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণে যদি কিছু কমতি থাকে তাহলে আমাদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ওই বক্তব্যের পর এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সালাম মুর্শেদী বিষয়টি পুরোপরি অস্বীকার করেন। তাঁর কথায়, ‘এখানে আমি নির্বাচনীর আচরণবিধি ভাঙার মতো কোনো কথা বলিনি।’

ওই দিন বিভিন্ন স্তরে লিগে জমে থাকা ট্রফিগুলো বিতরণ করে বাফুফে। ট্রফিগুলোর মধ্যে আছে প্রিমিয়ার লিগের দুটি রানার্সআপ শিরোপা। বাকিগুলো অন্য স্তরের লিগের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানের।

তবে নিজেদের প্রাপ্তির স্মারক এত দিন পর পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ তৈরি হয় ক্লাব ও খেলোয়াড়দের মধ্যে। স্বীকৃতির স্মারক দেরিতে পেলে সেটার আনন্দ কতটুকু থাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

অবশ্য দেরিতে পুরস্কার দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি জানিয়েছেন, অনেক দল তাই অন্যান্য টুর্নামেন্ট নিয়ে ব্যস্ততার কারণে দেরিতে ট্রফি দিতে হয়েছে।

অনুষ্ঠানজুড়েই ছিল বাফুফের নির্বাচন প্রসঙ্গ। সেইসঙ্গে সালাম মুর্শেদীর অমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মাধ্যমে।