নির্বাচন পদ্ধতি বদলে গেছে বলে শঙ্কা বিসিবি সভাপতির

Looks like you've blocked notifications!

সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে বাংলাদেশের একাদশ আসলে কে গঠন করে থাকেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এনটিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, অধিনায়ক ও কোচের ভূমিকায় বিস্মিত তিনি। সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জায়গায় তুলনামূলক নরম কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কাজ করায়, পুরো নির্বাচন পদ্ধতি বদলে গেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি। তবে তিনি আশাবাদী, বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবেন ক্রিকেটাররা। 

টেস্টে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা নিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘বলা হচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থতাটা ছিল অ্যাক্সিডেন্ট। কিন্তু আসলে সেটা অ্যাক্সিডেন্ট নয়। এটা স্ট্র্যাটেজিক ভুল ছিল আমাদের। যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝতে পারে ঢাকা ও চট্টগ্রমের পিচ কেমন, তাহলে আমরা বুঝতে পারি না কেন? এগুলো হলো বলার জন্য বলা। আমার ধারণা, সবকিছু সহজেই ঠিক করা সম্ভব।’    

এমন নয় যে, নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের এই ব্যর্থতা নতুন কিছু। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছিলেন মুশফিক-তামিমরা। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে হার চার স্পিনার দিয়ে একাদশ সাজিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নয় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। গত সাত টেস্টে ব্যর্থতা দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুল রসায়নটাও খুব একটা জমেনি। 

একাদশ নির্বাচন সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমার জানা মতে এতদিনের নিয়ম ছিল, কোচের সঙ্গে বসে তাঁর সাজেশন নিয়ে অধিনায়ক দল ঠিক করে থাকে। আমি ম্যাচের একদিন আগে মুমিনুলকে ফোন করেছিলাম, ও কিন্তু বলতে পারেনি একাদশে কারা খেলবে। সে বলেছিল আমি আলাপ করে বলছি আপনাকে। কার সঙ্গে আলাপ করবা, তুমিই তো অধিনায়ক। হতে পারে অনেক সময় সিদ্ধান্তগুলো অধিনায়ক নিচ্ছে না, কোচ নিচ্ছেন। হতে পারে, আমি জানি না। কড়া কোচ থেকে হঠাৎ একজন নরম কোচ চলে আসলে যে অবস্থা হয়, সে রকম মনে হচ্ছে এখন। মনে হচ্ছে সিস্টেমগুলো একটু চেঞ্জ হয়ে গেছে। তবে এগুলো কোনো ব্যাপার নয়।’    

কোচিং স্টাফদের বিশেষ করে প্রধান কোচ ডমিঙ্গোর পরিকল্পনা নিয়ে দলের মধ্যেই আছে প্রশ্ন। যেমন আছে অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের ভূমিকা নিয়ে। সাকিব আবারও ফিরেছেন, অনেকে ভাবতে শুরু করেছেন, তাঁকেই অধিনায়ক করা হতে পারে। 

কদিন বাদে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। এর পর দেশে ফিরে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ দল দুটি টেস্ট খেলতে।  দেশের মাটিতে এই বিপর্যয়ের পর বিদেশের মাটিতে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে মুশফিক-তামিমদের। তা উৎড়াতে না পারলে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে।