কোনো রকম প্রাইজমানি ছাড়াই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালসের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। ম্যাচসেরা হিসেবে এক হাজার ডলার পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। আর টুর্নামেন্ট সেরা হিসেবে পেয়েছেন আরো এক হাজার ডলার। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য কিছুই পায়নি চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী।

শুধু ২০ লাখ টাকার ট্রফিটিই ছিল চ্যাম্পিয়নদের পুরস্কার। অধিনায়ক হিসেবে আন্দ্রে রাসেলের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা হলেও এ নিয়ে আক্ষেপ নেই তাঁর। প্রাইজমানির চেয়ে শিরোপা জেতার আনন্দটাই বড়। তাই তো ম্যাচ শেষে ট্রফি নিয়ে সোজা প্রেস কনফারেন্স রুমে হাজির হলেন রাসেল। জানালেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্ব।

রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, আমি কখনোই এসব টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি নিয়ে ভাবি না। এগুলো আসলে অনেকটা বোনাসের মতো। আমার কাছে, টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতাটাই সবকিছু। এটা হয়তো এমন শোনাবে যে, আমি অর্থ পছন্দ করি না। আমি শুধু নিশ্চিত করতে চাই, দলের সবাই যেন ঠিকঠাক থাকে এবং প্রয়োজনের সময় এগিয়ে আসতে পারে। একইসঙ্গে দলের খেলোয়াড়দের বোনাসের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে চেষ্টা করি।’

বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম বিদেশি অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রাসেল। আগের ছয়বারের তিনবার জিতেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, দুইবার সাকিব আল হাসান এবং একবার ইমরুল কায়েস। বিষয়টি জানতেনই না রাসেল। বললেন, ‘তাই নাকি! আমি সেভাবে খেয়াল করিনি, জানতাম না আসলে। সত্যিই দারুণ অনুভূতি। টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ। তারা আমার সামর্থ্যে আস্থা রেখেছে। আমারও নিজের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস ছিল। চেষ্টা করেছি যত বেশি অবদান রাখা যায়।’

রাসেল আরো বলেন, ‘এই শিরোপাটি আমার জন্য একটু বেশি স্পেশাল। কারণ অধিনায়ক হিসেবে এটিই আমার প্রথম শিরোপা। চাপকে জয় করে খেলা, বোলিংয়ের সময় ঠিকঠাক দল চালানো, একইসঙ্গে নিজেকেও ঠিকঠাক ব্যবহার করা— সব মিলিয়ে এটা ছিল অন্যরকম অনুভূতি।’