পতাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রাকিবুল
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ২৪ বলে এক রান দরকার বাংলাদেশের। মিড উইকেটে বল ঠেলে দিয়েই এক রান নিতে রাকিবুল হাসানের ভোঁ দৌড়। দেশের পতাকা হাতে ড্রেসিং রুম থেকে বাকিদেরও মাঠে দৌড়ে আসা। একদিকে বাংলাদেশ দলের উল্লাস, অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভেঙে পড়া।
ঠিক তখনই ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তৈরি হয় হাতাহাতির পরিস্থিতি। একপর্যায়ে বাংলাদেশের পতাকা ধরে টান দেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এমনকি হাতাহাতিও তৈরি হয় দুদলের মাঝে। পরে অবশ্য ঝামেলা মিটে যায়।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর এনটিভির খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান গ্যালারিতে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা রাকিবুল হাসান। সে দিনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে ফিল্ডে যা হয়, সেদিন খেলা চলাকালীন তাই হয়েছিল। এটা দুই দলেরই হয়। ওরাও বলেছে, আমরাও বলেছি। কিন্তু আমরা যখন জিতে যাই, সেটা তারা মানতে পারেনি। আমরা যখন ম্যাচ শেষে উদযাপন করছিলাম, সেটা তারা নিতে পারেনি। আমাদের কোচের হাতে পতাকা ছিল, সেটা তারা কেড়ে নিতে চাইছিল। এরপর তাদের ক্রিকেটার আকাশ আমাদের পেস বোলার শরিফুলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা-ধাক্কি থেকেই একটু ঝামেলা হয়ে যায়।’
বিষয়টির জন্য অবশ্য শাস্তিও পেতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ ও ভারতের মোট পাঁচ ক্রিকেটারকে শাস্তি দেয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। শাস্তি পাওয়াদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার- তৌহিদ, শামীম হোসেন ও রাকিবুল হাসান। বাকি দুজন হলেন- ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণোই।
বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
সেদিন ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমে বাংলাদেশের বোলাররা স্লেজিং করেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নামলে ভারতীয় বোলাররাও পাল্টা স্লেজিং করে। বাউন্সার বৃষ্টি তো ছিলই, বিমারও বেরিয়েছে ভারতীয় পেসারদের হাত থেকে।
এদিকে ম্যাচ শেষের ঘটনাটি নিয়ে ভারতীয়দের অভিযোগ, জেতার পর তাদের ঘিরে গালিগালাজ করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। একপর্যায়ে দুদলের একাধিক ক্রিকেটার এক অন্যের দিকে তেড়েও যায়।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সংবাদমাধ্যমেও। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে জেতানো অধিনায়ক আকবর বলেন, ‘আমি বলব, যা হয়েছে, তা হওয়া কখনোই কাম্য ছিল না। যদিও কী হয়েছে, পুরোটা আমি দেখিনি। তবে আপনি জানেন, ফাইনালে অনেক সময় আবেগ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারত এখন বড় দ্বৈরথ। কিছু ক্রিকেটার হয়তো আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। আমি বলব, কোনো পরিস্থিতিতেই এমন কিছু হওয়া উচিত নয়। প্রতিপক্ষকে আমাদের সম্মান করা উচিত, খেলাটাকেও সম্মান করা উচিত। কারণ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। আমি আমার দলের হয়ে দুঃখপ্রকাশ করছি।’