প্রথম সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে ভাসলেন মিরাজ

Looks like you've blocked notifications!
সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ছবি : বিসিবি

২০১৬ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। এরপর ২২ ম্যাচে ৪২ ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন, কিন্তু সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না তিনি। দীর্ঘদিন পর হলেও শতক পাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মিরাজ।

টপ অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্তরা যা পারেননি, আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেটা করে দেখেয়েছেন মিরাজ। নিজের ২৩তম টেস্টে এই সাফল্য পেলেন তিনি। সব মিলে ১৬৮ বলে খেলেছেন ১০৩ রানের ইনিংস। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩ বাউন্ডারি দিয়ে।

আজ বৃহস্পতিবার ক্যারিবীয় বোলার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে স্কয়ার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের ইনিংস শুরু করেন মিরাজ। এরপর নিজের ইনিংসের ২৪ রানের মাথায় আউট হতে পারতেন তিনি। জোমেল ওয়ারিকানের বলে সে যাত্রায় বেঁচে যান। নতুন জীবন পেয়েই যেন পাখা মেলে তাঁর ব্যাট। উইকেটে এসে প্রথম জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। সাকিব-মিরাজের ওই জুটিতে ১৩০ বলে আসে ৬৭ রান।

এরপর দলীয় ৩১৫ রানে সাকিব ফেরেন সাজঘরে। কর্নওয়ালের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বল খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ১৫০ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন তিনি।

সাকিব ফিরলেও ততক্ষণে উইকেটে থিতু হয়ে যান মিরাজ। সাকিবের পর তাইজুলের সঙ্গে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ১৮ রানে তাইজুল ফিরে গেলে মিরাজকে সঙ্গ দেন নাঈম হাসান।

নবম উইকেটে বাংলাদেশ পায় আরেকটি সফল জুটি। দুই তরুণ মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। শেষ দিকে নাঈম বিদায় নিলে কিছুটা সেঞ্চুরির শঙ্কায় পড়ে যান মিরাজ। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটেনি। মুস্তাফিজের সঙ্গে দশম উইকেটে নিজের কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান তিনি। যে ওয়ারিকানের বলে আউট হতে গিয়েছিলেন, তাঁর বলেই দুই রান নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ।

২০১৮ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেন মিরাজ। আর এই ইনিংসকেই রূপ দিলেন শতকে। মিরাজের আগের সর্বোচ্চ ইনিংস হলো ৬৮, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তারও আগে ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে করেন ৫১ রান। ওই ইনিংস ছিল তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এ ছাড়া গত ১২ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠেই অন্যরূপে দেখা দিলেন এই অলরাউন্ডার। তাঁর ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করে বাংলাদেশ।