ফলোঅন এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টের দুদিনই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। ফলে এ টেস্ট বৃষ্টির বদান্যতায় ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু, গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিন ম্যাচের চিত্র বদলে দিয়েছেন পাকিস্তানি বোলারেরা। ব্যাটে-বলের দাপটে বাংলাদেশকে ফলোঅনের শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে আজ মাঠে নেমে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য ফলোঅন এড়ানো। সে লক্ষ্যে বাটিংয়ে সাকিব-তাইজুলরা।
আজ আকাশ পরিষ্কার। সকাল থেকেই ঝলমলে রোদ। উইকেটে নেই কাভার। ছোট রোলার দিয়ে আম্পায়ারের তত্ত্বাবধানে হালকা রোলিং করে নেওয়া হয়েছে। ফলে দিনের পুরো খেলাই মাঠে বলে আশা করা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভারে ৭৬ রান করে বাংলাদেশ। দিন শেষে উইকেটে ২৩ রানে অপরাজিত সাকিব আল হাসান। তাঁর সঙ্গে আছেন তাইজুল ইসলাম। ফলোঅন এড়াতে আরও ২৫ রান দরকার বাংলাদেশের।
কাল আউটফিট ভেজা থাকায় যথাসময়ে খেলা শুরু হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১০টা ৫০ মিনিটে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ দিনের শুরুতেই পায় জোড়া সাফল্য। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া আজহার আলীকে ফিরিয়ে দেন ইবাদত। এরপর থিতু হয়ে যাওয়া আরেক ব্যাটার বাবর আজমকে ফিরিয়ে দেন খালেদ আহমেদ। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তাঁর প্রথম উইকেট।
১৪৪ বল খেলা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজহার ৫৭ রানে ফিরে যান। ভাঙে ১২৩ রানের শক্ত জুটি। ইবাদতের বলটি অবশ্য উইকেট নেওয়ার মতো ছিল না। বাংলাদেশি পেসার শর্ট বল দেন। কিন্তু, বলে তেমন গতি ছিল না। চার হজম করার মতোই ডেলিভারি ছিল। কিন্তু বেশি জোরে মারতে গিয়েই টাইমিংয়ে গড়বড় করেন আজহার। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল উঠে যায় আকাশে। ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন কিপার লিটন দাস।
এরপর ৭৬ রান করা বাবরকে এলবির ফাঁদে ফেলেন খালেদ। ২০১৮ সালে অভিষেক হওয়া খালেদ নিজের তৃতীয় টেস্টে এসে পেলেন প্রথম উইকেটের স্বাদ। এরপর আর পাকিস্তানের একটি উইকেটও ফেলতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বাবর-আজহার ফেরার পর আরেকটি শক্ত জুটি উপহার দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম। দুজনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৩০০ ছুঁয়ে ইনিংস ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে মোট ৯৮.৩ ওভার খেলে ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ইনিংস শেষে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন ফাওয়াদ। তাঁর সঙ্গে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান।
এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হতাশ করে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো ওপেনিং ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় কিংবা সাদমান কেউই ভালো করতে পারেননি।
পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাজিদ খানের বলে রীতিমতো ধোঁয়া দেখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাঁর স্পিনেই একে একে সাজঘরের পথে হাঁটেন মাহমুদুল, সাদমান, নাজমুল, লিটন, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা সাজিদ বাংলাদেশের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি। তাঁর স্পিনে ফলোঅন এড়ানোর শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ।